শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

বেশি লবণ ডেকে আনে মরণ More eating salt May be dying

বেশি লবণ ডেকে আনে মরণ


খাবারে আসল স্বাদ পেতে দরকার লবণ। তবে বেশি লবণ ডেকে আনে মরণ। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বে বছরে ২৩ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী খাবারে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ। অতিরিক্ত শর্করা বা চিনিযুক্ত পানীয় কিংবা খাবার গ্রহণের কারণে বছরে যত লোকের মৃত্যু ঘটে,তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি লোকের মৃত্যু ঘটে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কারণে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক বৈঠকে উত্থাপিত একটি গবেষণা প্রবন্ধে এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০১০ সালে সারাবিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া, স্ট্রোক ইত্যাদি কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার শতকরা১৫ ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী খাবারে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ। গবেষণায় দেখা যায়, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের জন্য হৃদজনিত রোগে মারাযায় ২৩ লাখ মানুষ। ২০১০ সালে বিশ্বের ৫০টি দেশে চালানো২৪৭টি জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। এর মধ্যে ইউক্রেনে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেদুই হাজার ১০৯ জন (প্রতি ১০ লাখে)। দ্বিতীয় রাশিয়ায় এক হাজার ৮০৩ জন এবং সবচেয়ে কম কাতারে ৭৩ জন।

সম্প্রতি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি গবেষণা জরিপে বলা হয়, অতিরিক্ত চিনি বা শর্করাযুক্ত খাবার ও পানীয় পানের কারণে বিশ্বে বছরে এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।

গবেষণা প্রবন্ধের লেখক হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের মেডিসিন ও মহামারী বিষয়ক অধ্যাপক ডেরিস মোজাফ-ফারিয়ান বলেন, লবণ কম গ্রহণের ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা গড়েতুলতে পারলে লাখ লাখ মানুষ অকালমৃত্যুর হাতথেকে বেঁচে যেত।


"দুঃচিন্তা লাঘবে আর ওষুধ নয়" Drug in not no more needed in tension

"দুঃচিন্তা লাঘবে আর ওষুধ নয়"


অনেকেই আছেন যারা সামান্য দুঃচিন্তা, মানসিকচাপ বা অবসাদ, বিষণ্নতা অনিদ্রা ইত্যাদি মনোগত সমস্যায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের প্রচলিত ঔষধ খেয়ে থাকেন। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এ ধরনের ঔষুধ সেবনের প্রবণতা বেশী লক্ষ্য করা যায়। রিলাক্সেন, ডিএংজিট, রেংজিট, মুডন, ক্লোবাজাম ইত্যাদি হরেক নামের মনোগত ওষুধ সেবনে অনেকেই রীতিমত অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। অথচ অন্যান্য ঔষধের মতো সাইকিয়াট্রিক ঔষধেরও রয়েছে বিবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। মানসিক সমস্যায় সাইকিয়াট্রিক বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন যেমন অনেক ক্ষেত্রে, জরুরী তেমনি পরামর্শ বিহীন ওষুধ সেবন এবং ওষুধ ব্যবহারে অসর্তকরা হীতে বিপরীত হতে পারে। সাইকেয়াট্রিক ড্রাগ গ্রহণে বিশেষজ্ঞদের কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ। 

এক. কেবলমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত নির্দেশিত মাত্রায় ওষুধ খেতে হবে। ভুলবশতঃ একদিন নিয়মিত ডোজ খেতে ভুলে গেলে পরবর্তীতে ডাবলডোজ কখনও খাওয়া যাবে না। 

দুই. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন বন্ধ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে নতুন সমস্যা এবং ওষুধসেবন রহিত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

তিন. ওষুধ সেবনকালীন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসককে অবহিত করুন।

চার. আপনার ডাক্তারের কাছে মানিসক সমস্যার সাথে শারীরিক সমস্যার কোন উপসর্গ থাকলে বলুন। পাঁচ· আপনার ব্যবহৃত ওষুধের নাম এবং পূর্ববর্তী প্রেসক্রিপশন ডাক্তারকে জানান। অ্যাসপিরিন, অ্যালকোহল ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ডাক্তারকে অবহিত করুন। গাড়ী ড্রাইভ করলে বা ঝুঁকিপূর্ণ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে ডাক্তারের বিধি নিষেধ মেনে চলুন। ছয়· বন্ধু-বান্ধবদের পরামর্শ নয়-বরং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন

বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘড়ি,চশমা,প্রভৃতি পরে থাকলে সেখানে একধরনের দাগ পড়তে পারে

দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘড়ি,চশমা,প্রভৃতি পরে থাকলে সেখানে একধরনের দাগ পড়তে পারে

দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘড়ি, চশমা, ব্রেসলেট, টুপি প্রভৃতি পরে থাকলে সেখানে একধরনের দাগ পড়তে পারে। সাধারণত সূর্যের রশ্মি সরাসরি পড়ে এমন স্থানে কাজ করলে শরীরের ঢাকা অংশ বাইরের অংশ থেকে কিছুটা সাদা দেখায়। ফলে এটি শরীরের অন্য অংশ থেকে আলাদা দেখায়। অনেক সময় এটি নিয়ে অন্যের সামনে বিব্রত হতে হয়। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সূর্যের রশ্মি সরাসরি পড়ে, এমন স্থানে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এ অবস্থায় সেই স্থানকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। প্রথমত, বাইরে থেকে ঘরে ফিরে কুসুম গর
ম পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট গামছা ভিজিয়ে রেখে আক্রান্ত স্থানে ১০ মিনিট ধরে রাখতে হবে। তারপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে সে স্থানটি ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর রাতে ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে সেখানে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগাতে হবে। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগাতে না চাইলে একটুখানি গ্লিসারিন এবং সমপরিমাণ পানি সে স্থানে লাগানো যেতে পরে। পরদিন সে জায়গাটি ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এক দিন পর পর এ নিয়ম মেনে 
চললে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

অনিদ্রা দূর করতে ৭ পরামর্শ 7 tips to prevent insomnia

অনিদ্রা দূর করতে ৭ পরামর্শ


সপ্তাহে তিন দিন বা তার বেশি ঘুম না আসা, বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, ঘুমোতে সমস্যা, অল্প সময় ঘুম হওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি ভাব, সারা দিন খিটখিটে ভাব ইত্যাদি ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রার লক্ষণ। মস্তিষ্কের নিউরোহরমোনাল অসামঞ্জস্য অনিদ্রার অন্যতম কারণ।
এমন সমস্যার কারণে কর্মক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা ও মনোযোগ কমতে পারে। শারীরিক ক্ষতিও হতে পারে। যেমন: ওজনাধিক্য, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হূদেরাগের ঝুঁকি বাড়ায়।

কারণ
১. মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, মানসিক আঘাত-পরবর্তী পরিস্থিতি।
২. ঘুমের পরিবেশের ব্যাঘাত যেমন: অতিরিক্ত শব্দ, আলো, গরম বা ঠান্ডা।
৩. ঘুমের নিয়মে পরিবর্তন, যা মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
৪. সন্ধ্যার পর ধূমপান, অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল সেবন।
৫. ঘুমের আগে টিভি দেখা, ভিডিও গেমস খেলা।
৬. দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অসুস্থতা, যেমন: বাত, ক্যানসার, হূদেরাগ, ফুসফুসের রোগ, গ্যাস্ট্রিক, থাইরয়েডের সমস্যা।

পরামর্শ
১. প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ুন।
২. শোয়ার ঘর কেবল ঘুমের জন্য ব্যবহার করুন। সেখানে যেন অতিরিক্ত শব্দ বা আলো না থাকে।
৩. ঘুমের আগে হালকা গরম পানির গোসল, বই পড়া, মৃদু গান, উপাসনা বা ইয়োগা সাহায্য করতে পারে। বারবার ঘড়ি দেখবেন না।
৪. জোর করে ঘুমের চেষ্টা করবেন না। ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না এলে উঠে পড়ুন। অন্য ঘরে যান, হালকা কিছু পড়ুন ঘুম না আসা পর্যন্ত।
৫. দুপুরে ৩০ মিনিটের বেশি বিশ্রাম নেবেন না, তা তিনটার আগেই সেরে নিন।
৬. ঘুমানোর চার-ছয় ঘণ্টা আগে ভারী কাজ, ব্যায়াম এবং অ্যালকোহল, কফি, ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
৭. ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। এরপর খিদে পেলে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন।

অরুচির ঘরোয়া সমাধান !

অরুচির ঘরোয়া সমাধান !


১ থেকে ৩ গ্রাম আদা খোসা ছাড়িয়ে মিহি করে কুচিয়ে নিন এবং তার সাথে লবন মিশিয়ে খাবার আধ ঘন্টা আগে প্রতিদিন দিনে ১ বার করে ৭-৮ দিন খাবেন। এর সাথে দু'এক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে খেল

১. ভালো হজম হয়
২. ক্ষুধা বৃদ্ধি হয়
৩. পেট থেকে গ্যাস নির্গত হয়
৪. পেট ব্যথা ভালো হয়
৫. পেট ফাঁপা ভাল হয়

অরুচির ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়:

১. জ্বর, সংক্রমণ, গ্যাস্ট্রিক আলসার বা ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় খাবারের রুচি কমে যায়।
২. প্রচণ্ড অরুচি, বমিভাব এমনকি পছন্দের খাবারেও অনীহা দেখা দিলে লক্ষ করুন প্রস্রাব ও চোখের রং হলুদ হচ্ছে কি না। এটি হেপাটাইটিস বা জন্ডিসের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।
৩. কিডনি জটিলতায় খাবারে রুচি কমে যায়। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিসে খাদ্যনালির সংকোচন-প্রসারণ কমে যায় বলে অল্প খেলেই পেট ভরা মনে হয়।
৪. মানসিক চাপ ও বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলেও রুচি কমে যায়।
৫. বিভিন্ন ওষুধ বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক খাবারের রুচি কমিয়ে দিতে পারে।
৬. খেয়াল রাখুন অরুচির সঙ্গে ওজন কমে যাচ্ছে কি না, রক্তশূন্যতা আছে কি না, দুর্বলতা, খাবার গিলতে সমস্যা, পেটের ব্যথা, দীর্ঘদিনের হজমে গোলমাল, পেটে বা শরীরের কোথাও চাকা ইত্যাদি রয়েছে কি না। এসব লক্ষণ থাকলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখুন, পোষ্টটি লাইক কমেন্ট অথবা শেয়ার করুন ।

ডায়রিয়া হলে কি করবেন?What are you do in diarrhea?

ডায়রিয়া হলে কি করবেন?


ডায়ারিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে রোগীকে স্যালাইন খেতে দিতে হবে। অল্প অল্প করে বারে বারে খাওয়াতে হবে। প্রতিবার দাস্তের পর দেড়-দুই আউন্স পরিমাণ অর্থাৎ যে পরিমাণ পানি পায়খানার সঙ্গে বেরিয়ে যাবে সে পরিমাণ খাবার স্যালাইন রোগীকে খাইয়ে দিতে হবে।

এক সঙ্গে বেশী পরিমাণে স্যালাইন খাওয়ালে রোগী বমি করতে পারে। সে জন্য নিয়ম হলো- রোগীকে খাওয়াতে হবে অল্প অল্প করে, বারে বারে। স্যালাইন খাওয়ানোর পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার সবকিছুই খেতে দিতে হবে। খাবার বন্ধ করা যাবে না। তরল খাবার বেশী করে দিতে হবে।

স্যালাইনের প্যাকেট বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এই প্যাকেটের স্যালাইন ১ সের বা (যে পরিমাণ পানি প্যাকেটের গায়ে লিখা থাকে) সিদ্ধ করা ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরী করা হয়। একবার তৈরী করা খাবার স্যালাইন ১২ ঘন্টা পর্যন্ত রেখে খাওয়ানো যেতে পারে, এর পর আরও স্যালাইনের প্রয়োজন হলে উপরোক্ত নিয়মে আবার নতুন করে বানাতে হবে।

স্যালাইনের প্যাকেট বাজারে কিনতে পাওয়া না গেলে কিংবা কিনার সামথ্য না থাকলে দুশ্চিন্তার কিছই নেই; আজকাল ঘরে বসেই খাবার স্যালাইন বানানো যায়। তিন আঙ্গুলের প্রথম ভাঁজের এক চিমটি লবণ, চার আঙ্গুলের এক মুষ্ঠি গুড় (বা চিনি) আধা সের বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে এ স্যালাইন বানানো যায়। অতি সমপ্রতি চালের গুঁড়ো দিয়ে আরো উন্নতমানের খাবার স্যালাইন তৈরীর পদ্ধতি এ-দেশেই আবিষ্কৃত হয়েছে। এ স্যালাইন আধিকতর ফলপ্রসূ ও কার্যকর।

ডায়রিয়ার সফল চিকিত্সার সাথে সাথে তা শরীরে বাড়তি শক্তি যোগায়; আর চালের গুঁড়ার এই স্যালাইন বানানোও খুব সোজা। প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্রে আধা সেরেরও কিছু বেশী (আড়াই পোয়া) বিশুদ্ধ পানি (ডিউবওয়েলের পানি হলেও চলবে) নিতে হবে, এতে পাঁচ সমানচামচ (ওষুধের চামচে) চালের গুঁড়ো মিশাতে হবে। এরপর তা ৩ থেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে এবং সাথে সাথে একটি পরিষ্কার চামচ দিয়ে বার বার নাড়াতে হবে, যেন চাল-গুঁড়া দলা না পাকিয়ে যায়। ৩-৫ মিনিট পর পাত্রটি চুলো থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে এতে তিন আঙ্গুলের প্রথম ভাঁজের সমান এক চিমটি লবণ মিশিয়ে দিতে হবে। এবারে এই স্যালাইন খাওয়ার উপযোগী হলে গেল।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখযোগ্য যে, তৈরীর পর কোন স্যালাইন ১২ ঘন্টার বেশী রাখা উচিত নয়। ১২ ঘন্টা পর প্রয়োজনে আবার নতুন করে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে হবে।

সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৪

ব্যায়ামের বড়ি ! Exercise pill!

ব্যায়ামের বড়ি !


মাথাব্যথার ওষুধের মতোই যদি কোনো বড়ি পাওয়া যেত, যা চট করে গিলে নিলেই শরীরচর্চার ঘাম ঝরানোর অংশটুকু হয়ে যাবে! যা খুশি, যত খুশি খাওয়া যাবে, ক্যালরির দুশ্চিন্তা করতে হবে না। এসব সংকট সমাধানে জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করবে ওই বড়ি!

আনন্দের খবর হচ্ছে, মানুষের এসব কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতেই উঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাথমিকভাবে সাফল্য মিলেছে তাঁদের কাজে। অর্থাৎ আমরা শিগগিরই হয়তো এমন বড়ি পেতে যাচ্ছি, যা খেলে নড়াচড়া না করেও ব্যায়ামের সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে।

ফ্লোরিডার স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকদের এ গবেষণায় দেখা গেছে, পেশিতে আরইভি-ইআরবি নামে আমিষের কোষ রয়েছে, যা বিপাকক্রিয়া, কোলেস্টেরলের স্তর স্বাভাবিক রাখা এবং আমাদের ঘুমের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। আমিষের এ স্তরকে প্রভাবিত করার মতো উপাদান খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

তাঁরা গবেষণাটি চালিয়েছেন ইঁদুরের ওপর। স্থূল ইঁদুরকে ওই উপাদানসংবলিত ইনজেকশন দেওয়া হলে দেখা যায়, সেটি স্লিম হতে শুরু করেছে। এমনকি উচ্চ চর্বিসমৃদ্ধ খাবার খেয়েও এরা মুটিয়ে যায়নি। একই সঙ্গে ইঁদুরের কোলেস্টেরলের স্তর উন্নত হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গবেষণায় দেখা যায়, এ ইঁদুর অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি অক্সিজেন ব্যবহার করছে এবং তার কর্মক্ষমতাও বেড়ে গেছে।

পানির অপর নাম জীবন

পানির অপর নাম জীবন


পানি খাওয়া নিয়ে প্রতিদিন হাজারো পরামর্শ। কিন্তু আমরা কি জানি পানি কিভাবে আমাদের উপকারে আসে। আসুন জেনে নেই কিভাবে পানি আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

এটা হজমে সাহায্য করে: ওজন কমাতে চাইছেন? তাহলে তো পানি খাওয়া খুব জরুরী। কেননা এটা চর্বি ক্ষয় করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা যায় পানি আমাদের শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ ফ্যাট বেশি ঝড়াতে সাহায্য করে।

খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে: একসাথে বসে গাদা গাদা খেয়ে ফেলাটা আপনার অভ্যাস নয় বরং বদভ্যাস। এবার খাওয়ার আগে কিছু পানি খেয়ে নিন। বেশি খাবার একসাথে আর খেতে পারবেন না। আর গবেষণা দেখাচ্ছে যারা পাঁচ গ্লাসের বেশি পানি খায় নিয়মিত তাদের হার্ট ঝরাতে মাত্রা যারা খায় না তাদের চেয়ে ৪১ শতাংশ কম।

মাথাব্যথা কমে: অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যা অনেক বড় হয়ে দেখা দেয়। তখন এই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে পানি । তাই পানি খান বেশি বেশি।

পানি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়: মস্তিষ্ক সবসময় বেশি বেশি অক্সিজেন চায়। আর বেশি পানি খেলে সেটা নিশ্চিত হয়। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়।


রাখে সচেতন: নিয়মিত পানি খেলে আপনার ক্লান্তি দূর করে আপনাকে রাখবে সতেজ। আপনি কাজে পাবেন উদ্দীপনা। তাই পানি খান বেশি বেশি।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় পানি !Increases in brain power!

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় পানি !


ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডনের বিজ্ঞানীদের সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র এক গ্লাস পানি পান করলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ১৪ শতাংশ বেড়ে যায়। এ গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ৯০ মিনিট টানা ঘামলে মস্তিষ্ক অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন ১-২ গ্লাস পানি পান করলেই মস্তিষ্ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। বিজ্ঞানীদের মতে, যখন কেউ তৃষ্ণার্ত থাকেন তখন তার মস্তিষ্ক সেটি নিয়েই ভাবতে থাকে। ফলে কাজের ব্যাপারে তিনি অমনোযোগী হয়ে পড়েন। এ প্রসঙ্গে গবেষক ক্যারোলিন অ্যাডমুন্ড বলেন, কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরুর আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। তাতে মস্তিষ্ক ভালো কাজ করবে। এছাড়া চা কিংবা কফি পানে সুফল পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।


বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪

বমির ঘরোয়া চিকিৎসা !domestic treatment of Vomiting!

বমির ঘরোয়া চিকিৎসা !


১। অজানা কারণে বমি :: দুটি লবঙ্গ ১০০ মিলি পানিতে দিয়ে সেদ্ধ করুন। পানি ফুটে যখন অর্ধেক জয়ে যাবে তখন ছেঁকে নিয়ে স্বাদ অনুসারে মিছরি মিশিয়ে খেতে দেবেন এবং পাশ ফিরে শুতে বলবেন। সারা দিনে ৪ ঘন্টা পরপর ৪ বার পান করলে বমি বন্ধ হয়ে যাবে। 

২। বমি-বমি ভাব :: দুটি লবঙ্গ গুঁড়ো করে ৩০ মিলি পানিতে মিশয়ে একটু গরম করে খেলে গা পাক দেওয়া সেরে যায়। বমি-বমি ভাব থাকে না। 

৩। গর্ভাবস্থায় বমি :: গর্ভাবস্থায় বমিতে দুটি লবঙ্গ মিছরির সাথে চূর্ণ করে আধ কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়।

৪। গাড়ি ভ্রমনে বমি :: বাস, ট্রেন ইত্যাদি ভ্রমনে যাদের বমি হয় তারা সাথে সবসময় লবঙ্গ রাখবেন। গাড়িতে উঠেই লবঙ্গ চুষতে থাকবেন। এতে বমি হওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাবে।

৫। প্রচন্ড গরমে বমি :: ৩ চা চামচ ধনে গুঁড়ো ২৫০ মিলি পানিতে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন, স্বাদের জন্য ১ চামচ মিছরি গুঁড়ো দেওয়া যেতে পারে। ১ ঘন্টা পর ঐ পানি ছেঁকে ১ ঘন্টা পরপর ছোটদের ১ চামচ করে এবং বড়দের ৩০ মিলি করে খাওয়াতে থাকুন। এতে গরমের জন্য বমি হলে প্রশমিত হবে। গরমের জন্য মাথা ঘুরলে, বমি হলে বা বুক ধড়ফড় করলেও এতে উপকার পাওয়া যায়।

৬। বমি হওয়ার মত অবস্থা :: একটা কাগজি লেবুকে দু'টুকরো করুন। এরপর এতে বিট লবন গুঁড়ো এবং গোলমরিচ গুঁড়ো লাগিয়ে রোগীকে ধীরে ধীরে চেটে খেতে দিন। এতে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বহমি হওয়ার মত অবস্থা দূর হবে। 

৭। বমির সাথে বদহজম :: লবঙ্গ ৫টি এবং মিছরি ১০ গ্রাম একসাথে খুব করে পিষে নিয়ে ৩০ মিলি পানিতে মিশিয়ে খেলে বমি ও বমিভাব সহ বদহজম দূর হয়।

৮। রক্ত বমি :: জিরা ৩ গ্রাম ও মিছরি ৬ গ্রাম মিশিয়ে গুঁড়ো তৈরিই করে মুখে দিয়ে পানি খেলে বমিতে রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়। প্রয়োজনে এই গুঁড়ো দিনে ২-৩ বার দেওয়া যায়।

••রেগে যাওয়ার কুফল••Bad effect of Anger

••রেগে যাওয়ার সাধারণ কারনসমূহ••



মানুষ বিভিন্ন কারনে রেগে যায়, তবে সাধারণ কয়েকটি কারন হলো-

→কেউ আপনাকে ভুল বুঝলে।
→আপনার সাধারণ কথা কেউ বুঝতে না চাইলে।
→আপনার কোন কাজের স্বীকৃতি চুরি হলে।
→কেউ খারাপ ব্যাবহার করলে।
→অন্যায়- অবিচার -জুলুম করলে।
→কর্তৃত্ব হারানোর ভয় থাকলে।
→আপনার কোন প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হলে।
→মানসিক বা কোন প্রকার চাপ থাকলে।
→প্রিয়জন দ্বারা কটাক্ষের স্বীকার হলে।


••রেগে যাওয়ার কুফল••
আপনি রেগে গেলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতে পারে।
আপনার বন্ধুবান্ধব আপনাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করবে। আপনি সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবেন।
এ সম্পর্কে হযরত আলী (রা) এর খুব সুন্দর একটি কথা আছে।
রাগান্বিত অবস্থায় চারটি কাজ থেকে বিরত থাকোঃ
১. সিদ্ধান্ত গ্রহণ
২. শপথ গ্রহণ
৩. শাস্তি প্রদান
৪. আদেশ প্রদান

১৪০০ বছর আগের এ কথাগুলো এখন বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত।
এছাড়া মহামতি বুদ্ধ বলেছেন, রণক্ষেত্রে সহস্র যোদ্ধার ওপর বিজয়ীর চেয়ে রাগ-ক্রোধ বিজয়ী বা আত্মজয়ী বীরই বীরশ্রেষ্ঠ।
যীশু বলেন, যখন কেউ তোমার সাথে অন্যায় আচরণ করে, তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও। সদাপ্রভুও তোমাকে ক্ষমা করবেন।
বেদে আছে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত রাগ-ক্রোধ থেকে দূরে থেকো।
মহানবী (সা) বলেন, ক্রদ্ধ হয়ো না। যে ব্যক্তি ক্রোধকে সংবরণ করতে পারে সে-ই প্রকৃত বীর। (বোখারী)

••রেগে গেলে যা করবেন••

সবই বুঝলাম। তা এডমিন, রাগ উঠলে কি করবো?? হুম, এবার তাই বলছি।

হাদিস অনুসারে বললে, মহানবী (সাঃ) এর কয়েকটি হাদিস বিশ্লেষণে জানা যায়, তিনি রাগ আসলে বসে পড়তে বলেছেন কিংবা শুয়ে থাকতে বলেছেন। আরও বেশি রাগ উঠলে ঠাণ্ডা পানি পান করতে বলেছেন।

এ ছাড়া বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, রাগ উঠলে চুপ করে বসে থাকুন। কিংবা ঘরের বাহির থেকে ঘুরে আসুন।

নিজের ভুল গুলো খুজে বের করার চেষ্টা করুন। নিজের ভুল খুজে পেলে অন্যের উপর থেকে রাগ অনেকটাই কমে যায়।


সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৪

পাঁচটি কাজ ঠিকমতো করুন, মেয়েটি আপনাকে পছন্দ করবেই

পাঁচটি কাজ ঠিকমতো করুন, মেয়েটি আপনাকে পছন্দ করবেই

মেয়েটি আপনাকে পছন্দ করে কিনা তা জিজ্ঞেস করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ এতে কিছু কৌশল খাটাতে হয়, কিছুটা ভয়ের এবং খুব ঝামেলা হবে যদি আপনি এসব কথা বলতে লজ্জাবোধ করেন। যদি পছন্দের মেয়েটির সঙ্গে কোনোভাবে একটি ডেটিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে পছন্দের বিষয়টি পরিষ্কার করে নেওয়াটা জরুরি। মনে রাখবেন, এখানে মেয়েটি আপনাকে বিয়ে করবে কিনা তা জানতে চাচ্ছেন না। স্রেফ পছন্দের কথাই জানতে চাওয়া হচ্ছে। আপনাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এখানে প্রথম ডেটিংয়ে রাজি করানো থেকে শুরু করে ৫টি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে আশা করা যায়, আপনি মেয়েটির ভালোবাসা আদায় করে নিতে পারবেন।
১. তার নাম্বারটি নিন : ফেসবুক আইডি নয়, টুইটার আইডি নয়, তার কোনো কাছের বন্ধুর আইডি নয়, সরাসরি তার মোবাইল নম্বরটি নিন। ডেটিংয়ের আগে অন্তত চার-পাঁচবার তাকে ফোন করুন। তারপর একদিন কোনো রেস্টুরেন্টে বসার প্রস্তাব দিন। সুন্দরভাবে কথা বলে প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারলে মেয়েটি না করবে না। যদি ফোন দেওয়ার সাহস পর্যন্ত না পান, তবে এসব পরামর্শ আপনার জন্য নয়।
২. পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলুন : আপনি মেয়েটি সম্পর্কে কী ভাবছেন তা জানতে পছন্দ করে মেয়েরা। কাজেই তার বিষয়ে আপনি সিরিয়াস এবং কোথায় দেখা করা যায় তা নিয়ে কথা বলুন। তার পছন্দের স্থানের কথা জানতে চান। মানুষ বেড়াতে যায় বা খেতে যায় এমন কোথাও নেওয়ার পরিকল্পনা করুন। যদি দ্বিতীয় ডেটিংয়ের ইচ্ছা থাকে, তবে জনমানবহীন স্থানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন না।
৩. তার কথা শুনুন, তাকে সহজ করুন : এই পরামর্শ ডেটিংয়ে আসার পর প্রযোজ্য। তার কথা শুনুন। অনেক কিছু জানতে চান। তার দিকে সহজভাবে তাকান। হালকা বিষয় নিয়ে কথা বলুন। কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। আর এ সময় আপনার ছোটবেলার গোপনীয়তা, পরিবারের নাটক, সেক্সুয়াল ইতিহাস এসব বলার তো প্রশ্নই আসে না।
৪. তাকে হাসান : এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার সহজাত সেন্স অব হিউমার থেকে অথবা কোনো হালকা কৌতুকের মাধ্যমে তাকে হাসান। যদি অন্য কিছু ঠিকমতো করতে না পারেন, তবু অন্তত এই কাজটি ঠিকমতো করুন। কারণ মেয়েটি হাসির মাধ্যমে আপনার কাছে সহজ ও স্বাবলীল হয়ে উঠবে। তা ছাড়া আপনাদের এই সাক্ষাৎ মজার হয়ে উঠবে তার কাছে।
৫. সব কিছুর বিল আপনি দিন : ঘুরতে যান বা রেস্টুরেন্টে কিছু খান, নিজের ওয়ালেটটা আগে বের করুন। সব খরচ আপনি করুন। কোনোভাবেই তাকে কোনো খরচ করতে দিবেন না।
আশা করা যায়, এই পাঁচটি পদক্ষেপ ঠিকমতো নিতে পারলে পরের চার-পাঁচদিনের মধ্যে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো বাইরে নেওয়ার প্রস্তাব তুলতে পারবেন এবং তার কাছ থেকে হ্যাঁ-সূচক জবাবটিই পাবেন। 

আপনার জন্মতারিখ বলবে আপনি কেমন চরিত্রের মানুষ!

আপনার জন্মতারিখ বলবে আপনি কেমন চরিত্রের মানুষ!


আমরা সকলেই জানি সকল মানুষ একই ধরণের হন না। একেকজন মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং সত্ত্বা আলাদা থাকে। যে কারণে সকলে একই রকমের চিন্তা ভাবনা করতে পারেন না বা করেন না। কিন্তু প্রশ্ন হলো কে কোন ধরণের মানুষ হবেন তা কি আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে যায়? মানুষের মধ্যকার আচার আচরণ জিনগত বৈশিষ্ট্য থেকে আসে।
জ্যোতিষীরা বলেন মানুষের আচার আচরণ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপরে জন্মতারিখ এর এক ধরণের প্রভাব রয়েছে। অনেকেই এই ধরণের কথার ওপর বিশ্বাস রাখেন না। কিন্তু একই জন্মগত তারিখের মানুষদের মাঝে আসলেই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বেশ কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। বিশ্বাস না হলে চলুন দেখে নেয়া যাক আপনার জন্মের তারিখের সাথে আপনার চারিত্রিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় কিনা। আসুন, মিলিয়ে দেখি!
আপনার জন্ম তারিখ যদি ১, ১০, ১৯, ২৮ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ১
আপনার জন্ম তারিখ যদি ২, ১১, ২০, ২৯ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ২
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৩, ১২, ২১, ৩০ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৩
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৪, ১৩, ২২, ৩১ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৪
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৫, ১৪, ২৩ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৫
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৬, ১৫, ২৪ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৬
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৭, ১৬, ২৫ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৭
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৮, ১৭, ২৬ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৮
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৯, ১৮, ২৭ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৯
জন্ম সংখ্যা ১ হলে
আপনি অনেক উচ্চাভিলাষী এবং জেদি ধরণের একজন মানুষ। নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবার জন্য আপনি অনেক কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। বর্তমানে যদি বেশি সফলতা নাও পান তবে আপনার হাতে সফলতা নিশ্চিত ভাবেই আসবে। আপনি মোটেও স্বার্থপর নন।কিন্তু মানুষ আপনাকে অনেক গম্ভীর ভেবে আপনার সাথে বেশ কম মেলামেশা করেন এবং আপনাকে স্বার্থপর ভেবে থাকেন। আপনি কাউকে ভালোবাসলে অনেক বেশি ভালোবাসেন। এমনকি সকল ভুল মাফ করে ভালবাসতেও আপনি পারেন। আপনাকে বুঝার মতো কম মানুষই রয়েছে পৃথিবীতে।
জন্ম সংখ্যা ২ হলে
আপনি অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। মাঝে মাঝে আপনি সততার জন্য অনেক বিপদেও পরে থাকেন তারপরও আপনি সৎ থাকাই ভালো মনে করেন। আপনি নিজের দায়িত্বজ্ঞান সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন। মানুষ আপনাকে একজন বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু ভাবেন। মানুষ খুব সহজেই আপনাকে বিশ্বাস করে। এবং আপনি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেন।আপনি একই সাথে বেশ মজার একজন মানুষ এবং আপনার চিন্তাধারা আর দশজনের তুলনায় খুবই আধুনিক।
জন্ম সংখ্যা ৩ হলে
আপনি অনেক আত্মকেন্দ্রিক একজন মানুষ।নিজের নতুন নতুন চিন্তা ও তত্ত্ব আপনার কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।আপনি নিজের এইসকল চিন্তাভাবনা নিয়ে অনেকটা সময় পার করে দেন। তবে সবচাইতে ভালো কথা হচ্ছে চিন্তা ভাবনা করে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক স্মার্ট চিন্তাশীল মানুষ বলা চলে। তবে আপনার সিদ্ধান্তটি অনেক মানুষের কাছে গ্রহন যোগ্য নাও হতে পারে। এমনটা হলেও আপনি আপনার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
জন্ম সংখ্যা ৪ হলে
আপনি পুরোপুরি দর্শন তত্ত্বে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আপনি অনেক বেশি আবেগিও বটে। আপনার চিন্তাভাবনা আপনার বন্ধু বান্ধব এবং অন্য সবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আপনার মধ্যে ইনটুইশন ক্ষমতা আছে।অনেক ধরনের ঘটনা ঘটার আগে থেকেই আঁচ করে ফেলার ক্ষমতা আপনার আছে।মানুষ বেশিরভাগ সময় আপনাকে ভুল বুঝে দূরে চলে যায়।আপনি কোন ধরণের মানুষ তা মানুষজন একেবারেই বুঝতে পারে না।এমনকি পরিবারের অতি আপনজনও আপনাকে আপনার প্রাপ্য সম্মান দিতে পারেন না।
জন্ম সংখ্যা ৫ হলে
আপনি বেশ ‘ডমিনেটিং’ স্বভাবের একজন মানুষ।আপনি আত্মনির্ভরশীলটা এবং স্বাধীনতা অনেক বেশি পছন্দ করেন। আপনি নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করেন।অনেক ক্ষেত্রেই আপনি ভাবেন ‘সব কিছু আমার মতো করে হতে হবে’। আপনি নিজে অনেক বেশি স্বাবলম্বী। আপনি আপনার নিজের ও পছন্দের মানুষের জন্য অনেক বেশি কষ্ট করতে পারেন।তবে যদি তারা আপনার কথা মতো চলেন।
জন্ম সংখ্যা ৬ হলে
আপনি অনেক বেশি হাসিখুশি এবং সেনসিটিভ স্বভাবের।মানুষ আপনাকে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন। আপনি প্রায় সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি।আপনার আন্তরিকতা ও ভালোবাসামাখা আচার আচরণের কারনে সবাই আপনার সঙ্গ পছন্দ করে।তবে একই সাথে আপনার সেনসিটিভ স্বভাবের কারণে মানুষজন কিছুটা দূরে দূরে থাকেন। আপনি নিজেকে প্রতিনিয়ত আরও বেশি চিন্তা ভাবনায় উন্নত করতে চান।আপনি ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করতে চান। আপনি মানুষকে অনেক বেশিই ভালোবাসেন।
জন্ম সংখ্যা ৭ হলে
আপনি একজন হাসিখুশি ও উদ্বেগহীন মানুষ। আপনি একই সাথে সমঝোতায় বিশ্বাসী একজন মানুষ।আপনি একজনের ভালো করলে সেও আপনার ভালো করবে এই ধরণের চিন্তা করেন আপনি। আপনি খুব ভালো একজন শ্রোতা। আপনি আপনার সকল আপনজনের কাছে জনপ্রিয় এই কারণে যে আপনি সকলের হাসিমুখ দেখতে পছন্দ করেন।অনেক বেশি সমস্যা ও দুশ্চিন্তাও আপনি ঝেড়ে ফেলে তা সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন।আপনাকে কোন ধরনের চিন্তা ও উদ্বেগ স্পর্শ করতে পারে না।সব কিছু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে আপনার।
জন্ম সংখ্যা ৮ হলে
আপনি অনেক চার্মিং ও এনার্জেটিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন মানুষ।আপনি খুব ঘুরে বেড়ানো পছন্দ করেন।‘জীবন একটিই, যতোটা মজা করে নেয়া সম্ভব করে নেয়া উচিৎ’ এই ধরণের চিন্তা করেন আপনি। আপনার মধ্যে কোনো মেকি ভাব নেই। আপনি যেমন ঠিক তেমনই সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন এবং করতে পছন্দ করেন।মানুষজন বেশীরভাগ সময় আপনার সোজাসাপ্টা কথা বলার ধরন অপছন্দ করে থাকে।কিন্তু আপনি নিজের চিন্তাটাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
জন্ম সংখ্যা ৯ হলে
আপনি খুব ভাগ্যে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আপনি জীবনকে সৃষ্টিকর্তার উপহার হিসেবে দেখেন। কারন আপনি অনেক আশাবাদী একজন মানুষ। আপনি জীবনে যা চেয়েছেন তার বেশিরভাগি পেয়েছেন এবং পাবেন বলে আশা করেন। যে কারণে আপনি নিজের ভাগ্যের ওপর ভরসা করে চলতেই বেশি পছন্দ করেন। এবং আপনি আপনার পাওয়া নিয়ে গর্ববোধ করেন সবসময়। আপনি আপনার আপনজন জন্য অনেক কিছুই করে থাকেন।আপনার পথ অনেকেই অনুসরণ করেন।

লেবুর রসে ১১টি যাদু

লেবুর রসে ১১টি যাদু

এই গরমে এক গ্লাস ঠাণ্ডা লেবুর শরবতের কথা মনে হলেই মনটা জুড়িয়ে যায়। আর গলধঃকরণ করতে পারলে তো কথাই নেই। সেইসঙ্গে এই আর্শীবাদপুষ্ট ফলটি রূপচর্চার কাজেও সবার চেয়ে এগিয়ে। এখানে বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন লেবুর ১১টি দারুণ ব্যবহার।
১. হেয়ার লাইটেনার
লেবুর রস চুলের দারুণ লাইটেনার হিসেবে করে। কোনো কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই। লেবুর রস চুলে দিয়ে নিন। এতে সূর্যের তাপ মাথাকে গরম করতে পারবে না।
২. নখের সৌন্দর্য বর্ধক
জেল ম্যানিকিউর নখকে দুর্বল করে দেয়। এতে নখ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। লেবুর রস থাকতে ভয় নেই। অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে তাকে নখ ভিজিয়ে রাখুন। এতে ক্ষয়প্রাপ্ত নখ সুন্দর ও সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
৩. ঠোঁটের যত্নে
শীতের শুষ্ক ঠোঁটে যেমন চামড়া ওঠে, আপনার ঠোঁট তেমন হয়ে থাকলে লেবুই ভরসা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেবুর রস ঠোঁটে দিয়ে ঘুমিয়ে যান। এতে আপনার অধর হবে স্ফীত, কোমল ও মসৃণ।
৪. চুলের তেল চিটচিটে ভাব দূর করতে
চুলে তেল দিতে হয়। কিন্তু শ্যাম্পু করার পরও তাতে তেল চিটচিটে ভাব থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে লেবুর রস বিস্ময়কার কাজ দেয়। লেবুর রসে অ্যাসট্রিনজেন্ট রয়েছে যা তেলতেলে অংম শুষে নেয়। চুল হয় ঝরঝরে।
৫. ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি
লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড রয়েছে। এই রস শুধু ত্বকের তেলতেলে ভাবই দূর করে না, সেইসঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে দেয়। তবে এই ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে এসপিএফ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
৬. বলিরেখা হালকা করে দেয়
বয়সের ছাপ পড়ে বলিরেখার মাধ্যমে। তা ছাড়া অনেকের এমনিতেই বলিরেখা পড়তে পারে। এসব বলিরেখা দূর করতে মানুষ কতো পয়সা খরচ করে দামি দামি ক্রিম ব্যবহার করেন। কিছুটা কাজ হলেও নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ লেবুর রস এই বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর। রেখাগুলোতে লেবুর রস দিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন এবং ধুয়ে ফেলুন।
৭. দাঁত পরিষ্কার করে
দাঁতের যত্নে ভালো পেস্টের চেয়েও ভালো কাজ করে লেবুর রস। অল্প পরিমাণ বেকিং সোডার সঙ্গে কিছু লেবুর রস মিশিয়ে পেস্টের মতো বানান। তারপর দাঁত মেজে দেখুন কী ফল দাঁড়ায়।
৮. কনুই এবং হাঁটুকে মসৃণ করে
মানুষের কনুই এবং হাঁটুর অংশটি খসকসে হয়। এই অংশ দুটিকে মসৃণ এবং সুন্দর করে দেয় লেবুর রস। এক টেবিল চামচ লবণ, সামান্য অলিভ ওয়েল এবং কিছু লেবুর রস মিশিয়ে লাগান। দেখুন যাদুর মতো কাজ করবে।
৯. খসখসে ত্বককে মসৃণ করে
যাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের অভাব রয়েছে তারা কয়েক ফোঁটা ডাবের পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ঘষুন। দেখবেন, ত্বক সুন্দর কোমল হয়েছে। আবার লেবুর রসে তা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
১০. দুর্গন্ধ দূর করে
ডিওডরেন্ট ব্যবহার না করলেও চলবে। লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড থাকে যা বাজে গন্ধ হটিয়ে দেয়। তাই দুর্গন্ধের স্থানে লেবুর রস মেখে নিন। দুর্গন্ধ চলে যাবে।
১১. ব্ল্যাক হেড ট্রিটমেন্ট
নাকের ওপর বা ত্বকে ব্ল্যাক হেড সৌন্দর্যহানি ঘটায়। লেবুর রস এসব ব্ল্যাক হেডের গোড়া নরম করে তাদের তুলে আনে। লেবুর রসের সঙ্গে আর কিছু মেশানোর প্রয়োজন নেই। বেশ ভালো করে ত্বকে রস দিয়ে ঘষুন। সূত্র : ইন্টারনেট

যেকোনো বদভ্যাস দূর করার ৯টি শক্তিশালী উপায়

যেকোনো বদভ্যাস দূর করার ৯টি শক্তিশালী উপায়

যদি উপলব্ধি করে থাকেন যে আপনি বেশ কিছু বাজে অভ্যাসে বেড়াজালে আটকে গেছেন, তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই। এখানে বিশেষজ্ঞদের ৯টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যার দ্বারা এসব অভ্যাস থেকে সহজে মুক্তি পাবেন।
১. যারা এসব বদভ্যাসমুক্ত তাদের সংস্পর্শে আসুন
বদভ্যাস থেকে মুক্তির অন্যতম সেরা উপায় এটি। যারা এসব অভ্যাসমুক্ত তাদের সংস্পর্শে আসুন। তারা যে ধরনের জীবনযাপন করেন সেই জীবন তো আপনিও চান, তাই নয় কি? এসব বদভ্যাস হতে পারে মাদকাসক্তি, অ্যালকোহল আসক্তি এবং এসব অভ্যাসের অত্যাচারে সৃষ্ট বিষণ্নতা ইত্যাদি। এসব মানুষের কাছে থাকলে কীভাবে তারা বদভ্যাসকে দূরে রাখেন তা বুঝতে পারবেন।
২. স্বাস্থ্যকর একটি অভ্যাসের চর্চা করুন
প্রকৃতিগতভাবেই মানুষের দেহ কোনো না কোনো অভ্যাসে আসক্ত হতে চায়। তাই যেকোনো একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলন এবং তার চর্চা চালিয়ে জান। এর সুফল পেলে অন্য ভালো অভ্যাস আয়ত্ত করতে উৎসাহ পাবেন। ভালো অভ্যাস হতে পারে ভালো মানের এনার্জি খাওয়া শুরু করলেন বা ব্যায়াম অথবা নিয়মিত উপকারী খাবার খাওয়া ইত্যাদি।
৩. উৎসের সন্ধান করে তা কেটে ফেলুন
কোনো একটা কারণে আপনি বাজে অভ্যাসটি ছেড়ে দিতে পারছেন না। সেই কারণটি খুঁজে বের করুন। এটাই বাজে অভ্যাস গড়ে ওঠার কারণ। অবচেতন মনে এই উৎসমূল প্রথিত হয়ে রয়েছে। নিজের মনকে বলুন, এই অভ্যাস কী কী ক্ষতি করছে এবং এ থেকে মুক্তি পেলে কী কী লাভ হবে। আপনার অবচেতন মনই তখন তা ছেড়ে দিতে কাজ শুরু করবে।
৪. বাধা তৈরি করুন
হতে পারে কোনোভাবেই অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে অভ্যাস আর আপনার মাঝখানে দেওয়াল তৈরি করুন। এতে অভ্যাসের বশবর্তী হয়ে যখন কোনো কাজ করতে যাবেন, তখনই বড় বাধা আসবে এবং তখন বদভ্যাসের সঙ্গে আপনার সংযোগ ঘটবে না। যদি অতিমাত্রায় ফেসবুকে আসক্ত হয়ে থাকেন, তবে ইন্টারনেট সংযোগটি কেটে দিন। দেখবেন, আবার লাইন নিয়ে ফেসবুকে বসার ঝামেলা করতে মন চাইবে না।
৫. একবারে একটি অভ্যাস ত্যাগে মন দিন
একসঙ্গে অনেকগুলো বদভ্যাস ধারণ করতে পারে মানুষ। তাই একবারে একটি অভ্যাস ভাঙার কাজে মন দিন। একবারে একাধিক অভ্যাস ভাঙতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে যে অভ্যাসটি কষ্ট দিচ্ছে আপনাকে, তাকে দূর করার কাজে মন দিন।
৬. সফলতায় নিজেকে ধন্যবাদ দিন
একটি বাজে অভ্যাস দূর করতে পারা মানে আপনি বড় কিছু করে ফেলেছেন যা প্রশংসার দাবিদার। কাজেই নিজের সফলতায় নিজেকে ধন্যবাদ দিন। উৎসাহ বাড়লে পরেরটিকে গলা চেপে ধরুন। এই সফলতা আপনাকে আনন্দ দেবে এবং পরের সফলতার জন্য আরো বেশি ক্রিয়াশীল হয়ে উঠবেন আপনি।
৭. সম্ভব হলে কাউবে সঙ্গে নিন
যদি সম্ভব হয়, অভ্যাস ভাঙার কাজে অন্যকে সঙ্গী করে নিন। বন্ধুদের মধ্যে আর কে কে একই সমস্যায় ভুগছেন? তাদের একাট্টা করুন। সবাই না থাকলেও চলবে, একজন থাকলেই যথেষ্ট। এতে একজনকে দেখে অন্যজন আরো বেশি ক্রিয়াশীল হবে। এতে একজন অন্যজনের দ্বারা প্রভাবিত হবেন এবং কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে।
৮. নিজের ওপর আস্থা রাখুন
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এ কাজে নিজের ওপর আস্থা রাখতে হবে। সমস্যা যতো বড়ই হোক আর যতো কঠিনই হোক না কেনো। মনে রাখবেন, অভ্যাসের চেয়ে আপনি নিজেই অনেক বেশি শক্তিশালী। নিজের কাজ, ভালো অভ্যাস, বদভ্যাস এ সবকিছুরই নিয়ন্ত্রক আপনি। কাজেই আস্থা হারাবেন না।
৯. ধৈর্য্যশীল হোন
বদভ্যাস দূরীকরণের কাজে ধৈর্য্য হারানো চলবে না। কিছু সময় তো দিতেই হবে। যে পদ্ধতিই অনুসরণ করুন, তার জন্য সময় দিতে হবে। কাজেই কোনো অবস্থাতেই ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটা চলবে না। সূত্র : ইন্টারনেট 

মেয়েদের মন পাওয়ার সময়োপযোগী ২০টি উপায়

মেয়েদের মন পাওয়ার সময়োপযোগী ২০টি উপায়


অনেক পুরুষের জীবনে সাধনার বিষয় নারী। ভালোবাসার নারীকে না পেয়ে অনেক পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। কেউবা নারীদের প্রতি আসক্ত হয়ে সুন্দর জীবনটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছেন।

এমন অনেক ঘটনা ঘটে। দেখা যায়, কোন পুরুষ সারাদিন হয়তো প্রিয়তমার কথা ভেবে আবেগের বসে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই নারী কি ঐ ছেলেটিকে নিয়ে এক মুহূর্তও চিন্তা করে?। নারীদের মন জয় করার জন্য একদল গবেষক বিশটি উপায় খুজে বের করেছেন। আসুন জেনে নেই কি করে আপনার কাঙ্খিত নারীর মন জয় করবেন।

১. ভালবাসার প্রথম শর্ত হল প্রিয়মানুষটার কাছে সৎ থাকা। তার কাছে কোনকিছুই গোপন করা যাবে না।

২. প্রিয়তমাকে তার দূর্বলতার কথা তুলে রাগানো যাবে না।

৩. আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পুরুষদের পছন্দ করে। প্রিয়মানুষের মানসিক ও শারীরিক চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

৪. নিজের অর্থসম্পদের চেয়ে তাকে বেশি ভালবাসতে হবে। প্রত্যেক নারী তার প্রিয়জনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ভালবাসা পেতে চায়। নারী চায় তার প্রিয়মানুষ তার প্রতি যত্মবান হোক। সবকিছুর উর্ধ্বে তাকে দেখুক।

৫. মেয়েরা হাস্য-রস পছন্দ করে। যেসব ছেলেরা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসি তামাশা করতে পারে, মেয়েরা ঐসব ছেলেদের পছন্দ করে।

৬. মেয়েরা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও ফিটফাট থাকতে পছন্দ করে। মেয়েরা চায় তার ভালোবাসার মানুষটি সব সময় কেতাদুরস্ত থাকুক।

৭. প্রিয়তমাকে প্রশ্ন করার সুযোগ করে দিতে হবে। সে কি জানতে চায় সেদিকে থেয়াল রাখতে হবে।

৮. নিজের পরিবারের সম্পর্কে তার সামনে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এতে মেয়েরা নিজেদের অনেকটা নিরাপদ মনে করে।

৯. ফেলে আসা জীবনে যেসব মেয়েদের সঙ্গে আপনার প্রেম ছিল। সেসব গল্প নাইবা বললেন আপানার প্রিয়তমাকে। যদি সে কখনো জানতে চায় তবেই বলা যেতে পারে।

১০. মেয়েরা কথার ছলে গল্প বলতে ভালোবাসে। আপনার প্রিয় মানুষটির গাল-গল্পে বিরক্ত হবেন না যেন। তাহলে সে আপনার উপরে চটে যাবে।

১১. প্রিয়তমার সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে আবেগ প্রকাশ করে কথা বলুন। এতে মেয়েরা খুশি হয়।

১২. আপনার মনে বেদনার পাহাড় জাগতে পা্রে। তাই বলে সবাইকে বলে কয়ে বেড়াবেন এমন নয়। প্রিয় নারীকেও আপনার দুঃখ-কষ্ট বুঝতে দেবেন না। বরং হাসি খুশি থাকুন।

১৩. কথায় বলে প্রকৃতি শুন্যস্থান পছন্দ করে না। তাই যথাসম্ভব প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকুন। তাকে ঘনঘন সময় দিন।

১৪. প্রিয়মানুষটির পছন্দ-অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখুন। তার ভালো লাগা, মন্দ লাগার বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।

১৫. প্রিয়তমার সঙ্গে কখনো অন্যকোন নারীর তুলনা করবেন না। কোন নারীর তুলনা পছন্দ করেন না।

১৬. অনেকে মনে করেন প্রেমিকার সঙ্গে বন্ধত্ব করা যায় না। কথাটি ভুল। আগে বন্ধুত্ব পরে প্রেম।

১৭. প্রেমিকার বিশ্বাসে কখনো আঘাত করবেন না।তার নিজস্ব চিন্তা-চেতনাকে সম্মান করুন।

১৮. প্রিয়তমার শরীরের মোহে না পরে তার মনের গুরুত্ব দিন। শরীর বৃত্তিয় ভালোবাসা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ভালোবাসুন মনে থেকে। তাহলে শরীর মন দুটোই পাবেন অনায়াসে।

১৯. প্রকৃতিগত ভাবেই নারীরা কোমল। তাই প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার সময় সময় কখনো কঠোর হবে না। কোমল সুরে নারীর সঙ্গে কথা বলুন।

২০. মেয়েরা খুব আবেগ প্রবণ। তারা সব সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে ভালোবাসে। তাই আপনার প্রিয়মানুষটির পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখুন। খোঁজ খবর নিন।

মনে রাখবেন ভালোবাসা এমনি এমনি আসে না। ভালোবাসা পেতে হলে আগে ভালোবাসা দিতে হয়। প্রেম-ভালোবাসা হল সুন্দরের আরাধনা। নারীর মন বুঝতে হলে নারীর সঙ্গে ঐ ধরনের আচরন করুন য্টো সে পছন্দ করে। তাহলেই দেখবেন সে আপনার প্রতি ভালোবাসায় বিগলিত হয়ে গেছে।

তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারের কথা জেনে নিন

তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারের কথা জেনে নিন

অনেকেই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার উপকারিতা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নয় এবং সে কারণে দেরি করে ঘুমাতে যান। আর এর ফলে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়ার আগেই উঠে পড়তে হয়। কিন্তু আপনি যদি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার উপকারিতাগুলো জানতে পারেন তাহলে হয়তো এ অভ্যাস ত্যাগ করবেন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমানোয় আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
১. উদ্যম
আমরা সব সময় আরও উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল হতে চাই। আর তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার মাধ্যমে এ কাজ করা সম্ভব হয়। দিনের কার্যক্রম চালানোর জন্য আপনি যখন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবেন তখন আপনি আরও বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যম বোধ করবেন। আর ভালো ঘুমের পর সকালে উঠেই পরিপূর্ণভাবে সে উদ্যম পাওয়া সম্ভব। আর রাতে একটি ভালো ঘুমের পর দিনেও আপনি সহজে ক্লান্ত বোধ করবেন না। এ উদ্যম পরিপূর্ণভাবে কাজ করার জন্য মাঝরাতের যতোটা সম্ভব আগে ঘুমাতে যেতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় রাত নয়টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমানোর পরিকল্পনা করতে পারলে।
২. সৌন্দর্য
দেহের সৌন্দর্যের সঙ্গে ঘুমের অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আপনি যদি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান তাহলে তা আপনার ত্বকের সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দেবে। পর্যাপ্ত ঘুম বাদ দিয়ে হাজার প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমেও কখনোই সৌন্দর্য রক্ষা করা সম্ভব নয়।
৩. সময় ব্যবস্থাপনা
অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং তাড়াতাড়ি ওঠা অসম্ভব বলে মনে হয়। এ কারণে আমরা অনেকেই আশা করি প্রতিটি দিন যদি কয়েক ঘণ্টা বড় হতো! কিন্তু এ ঘটনা ঘটে আপনার দুর্বল সময় ব্যবস্থাপনার কারণে। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা অনেক বেশি সৃষ্টিশীল কাজ করতে উৎসাহ যোগায়।
৪. ভালো মন
যারা তাড়াতাড়ি ঘুমায় এবং উঠে তাদের মন ভালো থাকে। এর কারণ যারা তাড়াতাড়ি ঘুমায় তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় এবং তার ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর তাদের মন ভালো থাকে।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণ
কিছু মানুষ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শারীরিক পরিশ্রম ও খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু তার পরেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন। বহু মানুষের ক্ষেত্রে এর কারণ হিসেবে দেখা যায় ঘুম। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুমালে মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
৬. বয়সের ছাপ কমানো
রাতে ভালো ঘুম না হলে মানুষের মুখে বলিরেখা পড়ে এবং চোখের নিচে ‘আন্ডার-আই সার্কলস’ দেখা যায়। এ কারণে অনেক তরুণ তরুণীকেও কয়েক বছর বেশি বয়সি বলে মনে হয়। কিন্তু তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর এর ফলে অনেক মানুষকে কমবয়সী দেখায়।
৭. রোগ প্রতিরোধ
তাড়াতাড়ি ঘুমানো হলে মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথাসহ কয়েকটি মানসিক রোগ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়। আর এ অভ্যাস গড়ে তুললে আপনার পেটও আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে। আর এর ফলে আপনার ত্বক ও চোখ সুস্থ থাকবে। ফলে আপনার শরীরের নানা রোগ-ব্যাধির বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে।

দুর্ঘটনাক্রমে পাওয়া ১৩টি আবিষ্কার যা পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে

দুর্ঘটনাক্রমে পাওয়া ১৩টি আবিষ্কার যা পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে 

প্রয়োজন সব সময় উদ্ভাবনের ক্ষেত্র তৈরি করে না। দুর্ঘটনাক্রমেও অনেক বিশাল আবিষ্কার হয়েছে। আমাদের রোগের চিকিৎসা, তৃপ্তির খাবার এবং প্রতিদিনকে আনন্দময় করতে বিজ্ঞান যেসব জিনিস দিয়েছে তার সবকিছুই কিন্তু খুব ভেবে-চিন্তে বের করা হয়নি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রয়েছে যা হঠাৎ করেই আবিষ্কৃত হয়ে গেছে।
এখানে দেখুন এমনই ১৩টি আবিষ্কার যা হঠাৎ করে আমরা পেয়ে গেছি এবং যেগুলো বদলে দিয়েছে পৃথিবী।
১. স্লিংকি : ১৯৪৩ সালে রিচার্ড জোনস এমন একটি মিটার ডিজাইন করতে চেয়েছিলেন যা যুদ্ধের জাহাজের শক্তি পর্যবেক্ষণ করবে।
টানটান একটি স্প্রিং নিয়ে কাজ করার সময় হঠাৎ একটি স্প্রিং নিচে পড়ে এক জায়গায় অবস্থান করে এপাশ-ওপাশ করতে থাকে। ব্যাস, জন্ম হলো আজকের স্লিংকির।
২. কোকা-কোলা : ফার্মাসিস্ট জন পেমবার্টন এই জনপ্রিয় পানীয়টি আবিষ্কার করেন। ১৮৮০ এর দশকে আটলান্টায় বসবাসের সময় পেমবার্টন মদ ও কোকো দিয়ে তৈরি এক ধরনের সিরাপ বিক্রি করতেন যার নাম ছিলো 'পেমবার্টনস ফ্রেঞ্চ ওয়াইন কোকা'। দুর্বলতা এবং মাথাব্যথা নিরাময়ের কাজে এ সিরাপ ব্যবহার করা হতো। ১৮৮৫ সালে আটলান্টায় মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হলে পেমবার্টন খাঁটি কোকা দিয়ে কার্বনেটেড পানীয় হিসেবে সিরাপটি বানান যা আজকের কোকা-কোলা।
৩. চকোলেট চিপ কুকি : টল হাউজ ইন এর মালিক রুথ ওয়েকফিল্ড চকোলেট কুকি বানাতে গিয়ে আজকের জনপ্রিয় চকোলেট চিপ কুকি বানিয়ে ফেলেন। ১৯৩০ এর দিকে বেকারস চকোলেটে কাজ করার সময় এই নারী কুকির কাঁচা অংশে চকোলেট ছোট ছোট করে কেটে দিয়ে দেন।
৪. আলুর চিপস : নিউ ইয়র্কের ক্যারি মুন লেক হাউজের শেফ জর্জ ক্রাম ১৮৫৩ সালের একদিন এক ক্রেতার জন্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাচ্ছিলেন। দেওয়ার পর ওয়েটার তা ফিরিয়ে নিয়ে আসেন এবং শেফকে বলেন তা আরো পাতলা এবং মচমচে করে দিতে। শেফ রেগে গিয়ে একেবারে পাতলা করে আলু কাটেন এবং তা খটখটে না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকেন। তৈরি হয় আজকের পটেটো চিপস।
৫. পেসমেকার : ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জন হুপস হাইপোথারমিয়া নিয়ে গবেষণা করছিলেন এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে দেহের তাপমাত্রা ফেরাতে কাজ শুরু করেন। তিনি বুঝতে পারেন, যদি ঠাণ্ডায় হৃদযন্ত্র কাজ বন্ধ করে দেয় তবে একে কৃত্রিমভাবে চালু করা যাবে। এই উপলব্ধি থেকেই ১৯৫১ সালে তৈরি হয় পেসমেকার।
৬. সিলি পুটি : জেনারেল ইলেকট্রিকে কর্মরত প্রকৌশলী জেমস রাইট এটি আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্লেনের টায়ার, গ্লাভস ইত্যাদির জন্য রাবারের প্রয়োজন হয়। এর বিকল্প হিসেবে জেমস সিলিকন থেকে কিছু একটা বানানো চেষ্টায় ছিলেন।
১৯৪৩ এর দিকে হঠাৎ একদিন তিনি সিলিকন ওয়েলে বরিক এসিড দিলেন। এতে আঠালো এবং বাউন্স করে এমন এক ধরনের পদার্থ তৈরি হয়। এর বাস্তবিক ব্যবহার তিনি তৎক্ষণাত বুঝতে না পারলেও খুব শিগগিরই সিলি পুটি দারুণ কাজের বস্তুতে পরিণত হয়।
৭. মাইক্রোওয়েভ ওভেন : ১৯৪৬ সালের দিকে রেথিওন করপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার পারসি স্পেন্সার বায়ুশুন্য টিউবের মধ্যে রাডার সংক্রান্ত একটি পরীক্ষা করছিলেন। এটি করার সময় তার পকেটে থাকা একটি ক্যান্ডি গলতে শুরু করে এবং তিনি তা খেয়াল করেন।
তিনি দ্রুত কিছু কর্ন সেখানে দিলেন। মুহূর্তেই হয়ে গেলো পপকর্ন। তৈরি হলো আজকের অতি প্রয়োজনীয় মাইক্রোওয়েভ ওভেন।
৮. ওষুধ হিসেবে এলএসডি : ১৯৩৮ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি ল্যাবরোটরিতে রসায়নবিদ অ্যালবার্ট হফম্যান লিজারসিক এসিড নিয়ে কাজ করছিলেন। এর যাবতীয় বিষয় নিয়ে গবেষণাকালে তিনি অসচেতনভাবে সামান্য অংশ গিলে ফেলেন। এর মাধ্যমে বের হয়ে আসে মানুষকে অকল্পনীয় কাল্পনিক জগতে নেওয়ার একটি ওষুধ এলএসডি। খোদ স্টিভ জবস বলেছেন, জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ যে দুই-তিনটি কাজ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হলো, এলএসডি নেওয়া।
৯. স্যাকারিন : জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কনস্টেনটাইন ফালবার্গ ১৮৭৯ সালে কয়লার নতুন ব্যবহার নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। কোনো এক পর্যায়ের পরীক্ষার পর কয়লার গাদ লেগেছিল তার হাতে। গবেষণার ফাঁকে বিস্কটি খেতে গিয়ে খেয়াল করলেন, তা আগের চেয়ে অনেক বেশি মিষ্টি লাগছে। পেয়ে গেলেন স্যাকারিন।
১০. পোস্ট-ইট নোট : ১৯৬৮ সালের কথা। থ্রিএম ল্যাবরোটরিতে কাজ করতেন স্পেন্সার এবং আর্ট ফ্রাই। স্পেন্সার তার বানানো হালকা আঠার কোনো ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এই আঠার বৈশিষ্ট্য ছিলো তা হালকা কিছুকে বোর্ডে বা দেয়ালে লাগিয়ে রাখতে পারতো। আবার তুলে ফেললে দুটো স্তরের কোনোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। একদিন তার বন্ধু বইয়ে ছোট ছোট নোট লিখা কাগজ লাগানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সমাধান না পেয়ে মেজাজ খারাপ তার। এ বিষয় নিয়ে দুই বন্ধুর কথোপকথনের সময় বের হয়ে আসে পোস্ট-ইট নোটস এর ধারণা।
১১. স্কচগার্ড : থ্রিএম এর কেমিস্ট প্যাস্টি শেরম্যান ১৯৫৩ সালে এয়ারক্র্যাফটের জ্বালানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এমন একটি রাবার বানানোর কাজ করছিলেন।
একটি তরলের মিশ্রণ নিয়ে কাজ করার সময় হঠাৎ সেখান থেকে একটি ফোঁটা তার জুতোয় পড়ে। শেরম্যান খেয়াল করেন, তার জুতো ময়লা থাকলেও ফোঁটা যেখানে পড়েছিল সে স্থানটি চকচক করছে। এটি নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন যা আজকের স্কচগার্ড।
১২. কর্ন ফ্লেকস : জন এবং উইল কেলগ শস্যকণা থেকে গ্র্যানোলা বানানোর চেষ্টা করছিলেন। ১৮৯৮ সালের ঘটনা, তারা বিভিন্ন শস্যকণা জাল দিতে গিয়ে তা ভুলে কয়েকদিন একটি স্টোভে রেখে দেন। এতে শস্য জাল হয় এবং শুকনো ও পাতলা হয়ে যায়। এতে কয়েকটি বৈজ্ঞানিক কারিগরি ফলানোর পর ভেজা ভাব চলে যায় এবং আজকের কর্ন ফ্লেকস তৈরি হয়।
১৩. পেনিসিলিন : স্যার আলক্সান্ডার ফ্লেমিং এই বিস্ময়কর ওষুধ হঠাৎ করেই তৈরি করেন। এ বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে তিনি তা ছুড়ে ফেলে দেন এবং তখনই যা চাচ্ছিলেন তা পেয়ে যান। ১৯২৮ সালের একদিন ফ্লেমিং দেখেন যে, তার পেট্রি ডিসে যে পদার্থ তৈরি হয়েছে তা সব ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলছে। সেখান থেকেই তৈরি হয় বিস্ময়কর অ্যান্টিবায়োটিক পেনিসিলিন। ১৯০০ সাল থেকে সংক্রমণের কারণে মানুষ যেভাবে মারা যেতো, পেনিসিলিন আবিষ্কারের পর মৃত্যুর হার বিশ ভাগের এক ভাগ কমে গেছে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার