বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪

বমির ঘরোয়া চিকিৎসা !domestic treatment of Vomiting!

বমির ঘরোয়া চিকিৎসা !


১। অজানা কারণে বমি :: দুটি লবঙ্গ ১০০ মিলি পানিতে দিয়ে সেদ্ধ করুন। পানি ফুটে যখন অর্ধেক জয়ে যাবে তখন ছেঁকে নিয়ে স্বাদ অনুসারে মিছরি মিশিয়ে খেতে দেবেন এবং পাশ ফিরে শুতে বলবেন। সারা দিনে ৪ ঘন্টা পরপর ৪ বার পান করলে বমি বন্ধ হয়ে যাবে। 

২। বমি-বমি ভাব :: দুটি লবঙ্গ গুঁড়ো করে ৩০ মিলি পানিতে মিশয়ে একটু গরম করে খেলে গা পাক দেওয়া সেরে যায়। বমি-বমি ভাব থাকে না। 

৩। গর্ভাবস্থায় বমি :: গর্ভাবস্থায় বমিতে দুটি লবঙ্গ মিছরির সাথে চূর্ণ করে আধ কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়।

৪। গাড়ি ভ্রমনে বমি :: বাস, ট্রেন ইত্যাদি ভ্রমনে যাদের বমি হয় তারা সাথে সবসময় লবঙ্গ রাখবেন। গাড়িতে উঠেই লবঙ্গ চুষতে থাকবেন। এতে বমি হওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাবে।

৫। প্রচন্ড গরমে বমি :: ৩ চা চামচ ধনে গুঁড়ো ২৫০ মিলি পানিতে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন, স্বাদের জন্য ১ চামচ মিছরি গুঁড়ো দেওয়া যেতে পারে। ১ ঘন্টা পর ঐ পানি ছেঁকে ১ ঘন্টা পরপর ছোটদের ১ চামচ করে এবং বড়দের ৩০ মিলি করে খাওয়াতে থাকুন। এতে গরমের জন্য বমি হলে প্রশমিত হবে। গরমের জন্য মাথা ঘুরলে, বমি হলে বা বুক ধড়ফড় করলেও এতে উপকার পাওয়া যায়।

৬। বমি হওয়ার মত অবস্থা :: একটা কাগজি লেবুকে দু'টুকরো করুন। এরপর এতে বিট লবন গুঁড়ো এবং গোলমরিচ গুঁড়ো লাগিয়ে রোগীকে ধীরে ধীরে চেটে খেতে দিন। এতে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বহমি হওয়ার মত অবস্থা দূর হবে। 

৭। বমির সাথে বদহজম :: লবঙ্গ ৫টি এবং মিছরি ১০ গ্রাম একসাথে খুব করে পিষে নিয়ে ৩০ মিলি পানিতে মিশিয়ে খেলে বমি ও বমিভাব সহ বদহজম দূর হয়।

৮। রক্ত বমি :: জিরা ৩ গ্রাম ও মিছরি ৬ গ্রাম মিশিয়ে গুঁড়ো তৈরিই করে মুখে দিয়ে পানি খেলে বমিতে রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়। প্রয়োজনে এই গুঁড়ো দিনে ২-৩ বার দেওয়া যায়।

••রেগে যাওয়ার কুফল••Bad effect of Anger

••রেগে যাওয়ার সাধারণ কারনসমূহ••



মানুষ বিভিন্ন কারনে রেগে যায়, তবে সাধারণ কয়েকটি কারন হলো-

→কেউ আপনাকে ভুল বুঝলে।
→আপনার সাধারণ কথা কেউ বুঝতে না চাইলে।
→আপনার কোন কাজের স্বীকৃতি চুরি হলে।
→কেউ খারাপ ব্যাবহার করলে।
→অন্যায়- অবিচার -জুলুম করলে।
→কর্তৃত্ব হারানোর ভয় থাকলে।
→আপনার কোন প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হলে।
→মানসিক বা কোন প্রকার চাপ থাকলে।
→প্রিয়জন দ্বারা কটাক্ষের স্বীকার হলে।


••রেগে যাওয়ার কুফল••
আপনি রেগে গেলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে আপনার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যেতে পারে।
আপনার বন্ধুবান্ধব আপনাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করবে। আপনি সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবেন।
এ সম্পর্কে হযরত আলী (রা) এর খুব সুন্দর একটি কথা আছে।
রাগান্বিত অবস্থায় চারটি কাজ থেকে বিরত থাকোঃ
১. সিদ্ধান্ত গ্রহণ
২. শপথ গ্রহণ
৩. শাস্তি প্রদান
৪. আদেশ প্রদান

১৪০০ বছর আগের এ কথাগুলো এখন বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত।
এছাড়া মহামতি বুদ্ধ বলেছেন, রণক্ষেত্রে সহস্র যোদ্ধার ওপর বিজয়ীর চেয়ে রাগ-ক্রোধ বিজয়ী বা আত্মজয়ী বীরই বীরশ্রেষ্ঠ।
যীশু বলেন, যখন কেউ তোমার সাথে অন্যায় আচরণ করে, তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও। সদাপ্রভুও তোমাকে ক্ষমা করবেন।
বেদে আছে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত রাগ-ক্রোধ থেকে দূরে থেকো।
মহানবী (সা) বলেন, ক্রদ্ধ হয়ো না। যে ব্যক্তি ক্রোধকে সংবরণ করতে পারে সে-ই প্রকৃত বীর। (বোখারী)

••রেগে গেলে যা করবেন••

সবই বুঝলাম। তা এডমিন, রাগ উঠলে কি করবো?? হুম, এবার তাই বলছি।

হাদিস অনুসারে বললে, মহানবী (সাঃ) এর কয়েকটি হাদিস বিশ্লেষণে জানা যায়, তিনি রাগ আসলে বসে পড়তে বলেছেন কিংবা শুয়ে থাকতে বলেছেন। আরও বেশি রাগ উঠলে ঠাণ্ডা পানি পান করতে বলেছেন।

এ ছাড়া বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, রাগ উঠলে চুপ করে বসে থাকুন। কিংবা ঘরের বাহির থেকে ঘুরে আসুন।

নিজের ভুল গুলো খুজে বের করার চেষ্টা করুন। নিজের ভুল খুজে পেলে অন্যের উপর থেকে রাগ অনেকটাই কমে যায়।


সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৪

পাঁচটি কাজ ঠিকমতো করুন, মেয়েটি আপনাকে পছন্দ করবেই

পাঁচটি কাজ ঠিকমতো করুন, মেয়েটি আপনাকে পছন্দ করবেই

মেয়েটি আপনাকে পছন্দ করে কিনা তা জিজ্ঞেস করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ এতে কিছু কৌশল খাটাতে হয়, কিছুটা ভয়ের এবং খুব ঝামেলা হবে যদি আপনি এসব কথা বলতে লজ্জাবোধ করেন। যদি পছন্দের মেয়েটির সঙ্গে কোনোভাবে একটি ডেটিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে পছন্দের বিষয়টি পরিষ্কার করে নেওয়াটা জরুরি। মনে রাখবেন, এখানে মেয়েটি আপনাকে বিয়ে করবে কিনা তা জানতে চাচ্ছেন না। স্রেফ পছন্দের কথাই জানতে চাওয়া হচ্ছে। আপনাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এখানে প্রথম ডেটিংয়ে রাজি করানো থেকে শুরু করে ৫টি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে আশা করা যায়, আপনি মেয়েটির ভালোবাসা আদায় করে নিতে পারবেন।
১. তার নাম্বারটি নিন : ফেসবুক আইডি নয়, টুইটার আইডি নয়, তার কোনো কাছের বন্ধুর আইডি নয়, সরাসরি তার মোবাইল নম্বরটি নিন। ডেটিংয়ের আগে অন্তত চার-পাঁচবার তাকে ফোন করুন। তারপর একদিন কোনো রেস্টুরেন্টে বসার প্রস্তাব দিন। সুন্দরভাবে কথা বলে প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারলে মেয়েটি না করবে না। যদি ফোন দেওয়ার সাহস পর্যন্ত না পান, তবে এসব পরামর্শ আপনার জন্য নয়।
২. পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলুন : আপনি মেয়েটি সম্পর্কে কী ভাবছেন তা জানতে পছন্দ করে মেয়েরা। কাজেই তার বিষয়ে আপনি সিরিয়াস এবং কোথায় দেখা করা যায় তা নিয়ে কথা বলুন। তার পছন্দের স্থানের কথা জানতে চান। মানুষ বেড়াতে যায় বা খেতে যায় এমন কোথাও নেওয়ার পরিকল্পনা করুন। যদি দ্বিতীয় ডেটিংয়ের ইচ্ছা থাকে, তবে জনমানবহীন স্থানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন না।
৩. তার কথা শুনুন, তাকে সহজ করুন : এই পরামর্শ ডেটিংয়ে আসার পর প্রযোজ্য। তার কথা শুনুন। অনেক কিছু জানতে চান। তার দিকে সহজভাবে তাকান। হালকা বিষয় নিয়ে কথা বলুন। কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। আর এ সময় আপনার ছোটবেলার গোপনীয়তা, পরিবারের নাটক, সেক্সুয়াল ইতিহাস এসব বলার তো প্রশ্নই আসে না।
৪. তাকে হাসান : এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার সহজাত সেন্স অব হিউমার থেকে অথবা কোনো হালকা কৌতুকের মাধ্যমে তাকে হাসান। যদি অন্য কিছু ঠিকমতো করতে না পারেন, তবু অন্তত এই কাজটি ঠিকমতো করুন। কারণ মেয়েটি হাসির মাধ্যমে আপনার কাছে সহজ ও স্বাবলীল হয়ে উঠবে। তা ছাড়া আপনাদের এই সাক্ষাৎ মজার হয়ে উঠবে তার কাছে।
৫. সব কিছুর বিল আপনি দিন : ঘুরতে যান বা রেস্টুরেন্টে কিছু খান, নিজের ওয়ালেটটা আগে বের করুন। সব খরচ আপনি করুন। কোনোভাবেই তাকে কোনো খরচ করতে দিবেন না।
আশা করা যায়, এই পাঁচটি পদক্ষেপ ঠিকমতো নিতে পারলে পরের চার-পাঁচদিনের মধ্যে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো বাইরে নেওয়ার প্রস্তাব তুলতে পারবেন এবং তার কাছ থেকে হ্যাঁ-সূচক জবাবটিই পাবেন। 

আপনার জন্মতারিখ বলবে আপনি কেমন চরিত্রের মানুষ!

আপনার জন্মতারিখ বলবে আপনি কেমন চরিত্রের মানুষ!


আমরা সকলেই জানি সকল মানুষ একই ধরণের হন না। একেকজন মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং সত্ত্বা আলাদা থাকে। যে কারণে সকলে একই রকমের চিন্তা ভাবনা করতে পারেন না বা করেন না। কিন্তু প্রশ্ন হলো কে কোন ধরণের মানুষ হবেন তা কি আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে যায়? মানুষের মধ্যকার আচার আচরণ জিনগত বৈশিষ্ট্য থেকে আসে।
জ্যোতিষীরা বলেন মানুষের আচার আচরণ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপরে জন্মতারিখ এর এক ধরণের প্রভাব রয়েছে। অনেকেই এই ধরণের কথার ওপর বিশ্বাস রাখেন না। কিন্তু একই জন্মগত তারিখের মানুষদের মাঝে আসলেই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বেশ কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। বিশ্বাস না হলে চলুন দেখে নেয়া যাক আপনার জন্মের তারিখের সাথে আপনার চারিত্রিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় কিনা। আসুন, মিলিয়ে দেখি!
আপনার জন্ম তারিখ যদি ১, ১০, ১৯, ২৮ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ১
আপনার জন্ম তারিখ যদি ২, ১১, ২০, ২৯ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ২
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৩, ১২, ২১, ৩০ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৩
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৪, ১৩, ২২, ৩১ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৪
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৫, ১৪, ২৩ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৫
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৬, ১৫, ২৪ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৬
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৭, ১৬, ২৫ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৭
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৮, ১৭, ২৬ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৮
আপনার জন্ম তারিখ যদি ৯, ১৮, ২৭ হয় তাহলে আপনার জন্ম সংখ্যা ৯
জন্ম সংখ্যা ১ হলে
আপনি অনেক উচ্চাভিলাষী এবং জেদি ধরণের একজন মানুষ। নিজেকে প্রতিনিয়ত উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবার জন্য আপনি অনেক কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। বর্তমানে যদি বেশি সফলতা নাও পান তবে আপনার হাতে সফলতা নিশ্চিত ভাবেই আসবে। আপনি মোটেও স্বার্থপর নন।কিন্তু মানুষ আপনাকে অনেক গম্ভীর ভেবে আপনার সাথে বেশ কম মেলামেশা করেন এবং আপনাকে স্বার্থপর ভেবে থাকেন। আপনি কাউকে ভালোবাসলে অনেক বেশি ভালোবাসেন। এমনকি সকল ভুল মাফ করে ভালবাসতেও আপনি পারেন। আপনাকে বুঝার মতো কম মানুষই রয়েছে পৃথিবীতে।
জন্ম সংখ্যা ২ হলে
আপনি অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। মাঝে মাঝে আপনি সততার জন্য অনেক বিপদেও পরে থাকেন তারপরও আপনি সৎ থাকাই ভালো মনে করেন। আপনি নিজের দায়িত্বজ্ঞান সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন। মানুষ আপনাকে একজন বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু ভাবেন। মানুষ খুব সহজেই আপনাকে বিশ্বাস করে। এবং আপনি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেন।আপনি একই সাথে বেশ মজার একজন মানুষ এবং আপনার চিন্তাধারা আর দশজনের তুলনায় খুবই আধুনিক।
জন্ম সংখ্যা ৩ হলে
আপনি অনেক আত্মকেন্দ্রিক একজন মানুষ।নিজের নতুন নতুন চিন্তা ও তত্ত্ব আপনার কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।আপনি নিজের এইসকল চিন্তাভাবনা নিয়ে অনেকটা সময় পার করে দেন। তবে সবচাইতে ভালো কথা হচ্ছে চিন্তা ভাবনা করে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক স্মার্ট চিন্তাশীল মানুষ বলা চলে। তবে আপনার সিদ্ধান্তটি অনেক মানুষের কাছে গ্রহন যোগ্য নাও হতে পারে। এমনটা হলেও আপনি আপনার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
জন্ম সংখ্যা ৪ হলে
আপনি পুরোপুরি দর্শন তত্ত্বে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আপনি অনেক বেশি আবেগিও বটে। আপনার চিন্তাভাবনা আপনার বন্ধু বান্ধব এবং অন্য সবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আপনার মধ্যে ইনটুইশন ক্ষমতা আছে।অনেক ধরনের ঘটনা ঘটার আগে থেকেই আঁচ করে ফেলার ক্ষমতা আপনার আছে।মানুষ বেশিরভাগ সময় আপনাকে ভুল বুঝে দূরে চলে যায়।আপনি কোন ধরণের মানুষ তা মানুষজন একেবারেই বুঝতে পারে না।এমনকি পরিবারের অতি আপনজনও আপনাকে আপনার প্রাপ্য সম্মান দিতে পারেন না।
জন্ম সংখ্যা ৫ হলে
আপনি বেশ ‘ডমিনেটিং’ স্বভাবের একজন মানুষ।আপনি আত্মনির্ভরশীলটা এবং স্বাধীনতা অনেক বেশি পছন্দ করেন। আপনি নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করেন।অনেক ক্ষেত্রেই আপনি ভাবেন ‘সব কিছু আমার মতো করে হতে হবে’। আপনি নিজে অনেক বেশি স্বাবলম্বী। আপনি আপনার নিজের ও পছন্দের মানুষের জন্য অনেক বেশি কষ্ট করতে পারেন।তবে যদি তারা আপনার কথা মতো চলেন।
জন্ম সংখ্যা ৬ হলে
আপনি অনেক বেশি হাসিখুশি এবং সেনসিটিভ স্বভাবের।মানুষ আপনাকে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন। আপনি প্রায় সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি।আপনার আন্তরিকতা ও ভালোবাসামাখা আচার আচরণের কারনে সবাই আপনার সঙ্গ পছন্দ করে।তবে একই সাথে আপনার সেনসিটিভ স্বভাবের কারণে মানুষজন কিছুটা দূরে দূরে থাকেন। আপনি নিজেকে প্রতিনিয়ত আরও বেশি চিন্তা ভাবনায় উন্নত করতে চান।আপনি ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করতে চান। আপনি মানুষকে অনেক বেশিই ভালোবাসেন।
জন্ম সংখ্যা ৭ হলে
আপনি একজন হাসিখুশি ও উদ্বেগহীন মানুষ। আপনি একই সাথে সমঝোতায় বিশ্বাসী একজন মানুষ।আপনি একজনের ভালো করলে সেও আপনার ভালো করবে এই ধরণের চিন্তা করেন আপনি। আপনি খুব ভালো একজন শ্রোতা। আপনি আপনার সকল আপনজনের কাছে জনপ্রিয় এই কারণে যে আপনি সকলের হাসিমুখ দেখতে পছন্দ করেন।অনেক বেশি সমস্যা ও দুশ্চিন্তাও আপনি ঝেড়ে ফেলে তা সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন।আপনাকে কোন ধরনের চিন্তা ও উদ্বেগ স্পর্শ করতে পারে না।সব কিছু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে আপনার।
জন্ম সংখ্যা ৮ হলে
আপনি অনেক চার্মিং ও এনার্জেটিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন মানুষ।আপনি খুব ঘুরে বেড়ানো পছন্দ করেন।‘জীবন একটিই, যতোটা মজা করে নেয়া সম্ভব করে নেয়া উচিৎ’ এই ধরণের চিন্তা করেন আপনি। আপনার মধ্যে কোনো মেকি ভাব নেই। আপনি যেমন ঠিক তেমনই সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন এবং করতে পছন্দ করেন।মানুষজন বেশীরভাগ সময় আপনার সোজাসাপ্টা কথা বলার ধরন অপছন্দ করে থাকে।কিন্তু আপনি নিজের চিন্তাটাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
জন্ম সংখ্যা ৯ হলে
আপনি খুব ভাগ্যে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আপনি জীবনকে সৃষ্টিকর্তার উপহার হিসেবে দেখেন। কারন আপনি অনেক আশাবাদী একজন মানুষ। আপনি জীবনে যা চেয়েছেন তার বেশিরভাগি পেয়েছেন এবং পাবেন বলে আশা করেন। যে কারণে আপনি নিজের ভাগ্যের ওপর ভরসা করে চলতেই বেশি পছন্দ করেন। এবং আপনি আপনার পাওয়া নিয়ে গর্ববোধ করেন সবসময়। আপনি আপনার আপনজন জন্য অনেক কিছুই করে থাকেন।আপনার পথ অনেকেই অনুসরণ করেন।

লেবুর রসে ১১টি যাদু

লেবুর রসে ১১টি যাদু

এই গরমে এক গ্লাস ঠাণ্ডা লেবুর শরবতের কথা মনে হলেই মনটা জুড়িয়ে যায়। আর গলধঃকরণ করতে পারলে তো কথাই নেই। সেইসঙ্গে এই আর্শীবাদপুষ্ট ফলটি রূপচর্চার কাজেও সবার চেয়ে এগিয়ে। এখানে বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন লেবুর ১১টি দারুণ ব্যবহার।
১. হেয়ার লাইটেনার
লেবুর রস চুলের দারুণ লাইটেনার হিসেবে করে। কোনো কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই। লেবুর রস চুলে দিয়ে নিন। এতে সূর্যের তাপ মাথাকে গরম করতে পারবে না।
২. নখের সৌন্দর্য বর্ধক
জেল ম্যানিকিউর নখকে দুর্বল করে দেয়। এতে নখ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। লেবুর রস থাকতে ভয় নেই। অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে তাকে নখ ভিজিয়ে রাখুন। এতে ক্ষয়প্রাপ্ত নখ সুন্দর ও সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
৩. ঠোঁটের যত্নে
শীতের শুষ্ক ঠোঁটে যেমন চামড়া ওঠে, আপনার ঠোঁট তেমন হয়ে থাকলে লেবুই ভরসা। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেবুর রস ঠোঁটে দিয়ে ঘুমিয়ে যান। এতে আপনার অধর হবে স্ফীত, কোমল ও মসৃণ।
৪. চুলের তেল চিটচিটে ভাব দূর করতে
চুলে তেল দিতে হয়। কিন্তু শ্যাম্পু করার পরও তাতে তেল চিটচিটে ভাব থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে লেবুর রস বিস্ময়কার কাজ দেয়। লেবুর রসে অ্যাসট্রিনজেন্ট রয়েছে যা তেলতেলে অংম শুষে নেয়। চুল হয় ঝরঝরে।
৫. ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি
লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড রয়েছে। এই রস শুধু ত্বকের তেলতেলে ভাবই দূর করে না, সেইসঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল করে দেয়। তবে এই ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে এসপিএফ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
৬. বলিরেখা হালকা করে দেয়
বয়সের ছাপ পড়ে বলিরেখার মাধ্যমে। তা ছাড়া অনেকের এমনিতেই বলিরেখা পড়তে পারে। এসব বলিরেখা দূর করতে মানুষ কতো পয়সা খরচ করে দামি দামি ক্রিম ব্যবহার করেন। কিছুটা কাজ হলেও নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ লেবুর রস এই বলিরেখা দূর করতে দারুণ কার্যকর। রেখাগুলোতে লেবুর রস দিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন এবং ধুয়ে ফেলুন।
৭. দাঁত পরিষ্কার করে
দাঁতের যত্নে ভালো পেস্টের চেয়েও ভালো কাজ করে লেবুর রস। অল্প পরিমাণ বেকিং সোডার সঙ্গে কিছু লেবুর রস মিশিয়ে পেস্টের মতো বানান। তারপর দাঁত মেজে দেখুন কী ফল দাঁড়ায়।
৮. কনুই এবং হাঁটুকে মসৃণ করে
মানুষের কনুই এবং হাঁটুর অংশটি খসকসে হয়। এই অংশ দুটিকে মসৃণ এবং সুন্দর করে দেয় লেবুর রস। এক টেবিল চামচ লবণ, সামান্য অলিভ ওয়েল এবং কিছু লেবুর রস মিশিয়ে লাগান। দেখুন যাদুর মতো কাজ করবে।
৯. খসখসে ত্বককে মসৃণ করে
যাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের অভাব রয়েছে তারা কয়েক ফোঁটা ডাবের পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ঘষুন। দেখবেন, ত্বক সুন্দর কোমল হয়েছে। আবার লেবুর রসে তা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
১০. দুর্গন্ধ দূর করে
ডিওডরেন্ট ব্যবহার না করলেও চলবে। লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড থাকে যা বাজে গন্ধ হটিয়ে দেয়। তাই দুর্গন্ধের স্থানে লেবুর রস মেখে নিন। দুর্গন্ধ চলে যাবে।
১১. ব্ল্যাক হেড ট্রিটমেন্ট
নাকের ওপর বা ত্বকে ব্ল্যাক হেড সৌন্দর্যহানি ঘটায়। লেবুর রস এসব ব্ল্যাক হেডের গোড়া নরম করে তাদের তুলে আনে। লেবুর রসের সঙ্গে আর কিছু মেশানোর প্রয়োজন নেই। বেশ ভালো করে ত্বকে রস দিয়ে ঘষুন। সূত্র : ইন্টারনেট

যেকোনো বদভ্যাস দূর করার ৯টি শক্তিশালী উপায়

যেকোনো বদভ্যাস দূর করার ৯টি শক্তিশালী উপায়

যদি উপলব্ধি করে থাকেন যে আপনি বেশ কিছু বাজে অভ্যাসে বেড়াজালে আটকে গেছেন, তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই। এখানে বিশেষজ্ঞদের ৯টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যার দ্বারা এসব অভ্যাস থেকে সহজে মুক্তি পাবেন।
১. যারা এসব বদভ্যাসমুক্ত তাদের সংস্পর্শে আসুন
বদভ্যাস থেকে মুক্তির অন্যতম সেরা উপায় এটি। যারা এসব অভ্যাসমুক্ত তাদের সংস্পর্শে আসুন। তারা যে ধরনের জীবনযাপন করেন সেই জীবন তো আপনিও চান, তাই নয় কি? এসব বদভ্যাস হতে পারে মাদকাসক্তি, অ্যালকোহল আসক্তি এবং এসব অভ্যাসের অত্যাচারে সৃষ্ট বিষণ্নতা ইত্যাদি। এসব মানুষের কাছে থাকলে কীভাবে তারা বদভ্যাসকে দূরে রাখেন তা বুঝতে পারবেন।
২. স্বাস্থ্যকর একটি অভ্যাসের চর্চা করুন
প্রকৃতিগতভাবেই মানুষের দেহ কোনো না কোনো অভ্যাসে আসক্ত হতে চায়। তাই যেকোনো একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলন এবং তার চর্চা চালিয়ে জান। এর সুফল পেলে অন্য ভালো অভ্যাস আয়ত্ত করতে উৎসাহ পাবেন। ভালো অভ্যাস হতে পারে ভালো মানের এনার্জি খাওয়া শুরু করলেন বা ব্যায়াম অথবা নিয়মিত উপকারী খাবার খাওয়া ইত্যাদি।
৩. উৎসের সন্ধান করে তা কেটে ফেলুন
কোনো একটা কারণে আপনি বাজে অভ্যাসটি ছেড়ে দিতে পারছেন না। সেই কারণটি খুঁজে বের করুন। এটাই বাজে অভ্যাস গড়ে ওঠার কারণ। অবচেতন মনে এই উৎসমূল প্রথিত হয়ে রয়েছে। নিজের মনকে বলুন, এই অভ্যাস কী কী ক্ষতি করছে এবং এ থেকে মুক্তি পেলে কী কী লাভ হবে। আপনার অবচেতন মনই তখন তা ছেড়ে দিতে কাজ শুরু করবে।
৪. বাধা তৈরি করুন
হতে পারে কোনোভাবেই অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে অভ্যাস আর আপনার মাঝখানে দেওয়াল তৈরি করুন। এতে অভ্যাসের বশবর্তী হয়ে যখন কোনো কাজ করতে যাবেন, তখনই বড় বাধা আসবে এবং তখন বদভ্যাসের সঙ্গে আপনার সংযোগ ঘটবে না। যদি অতিমাত্রায় ফেসবুকে আসক্ত হয়ে থাকেন, তবে ইন্টারনেট সংযোগটি কেটে দিন। দেখবেন, আবার লাইন নিয়ে ফেসবুকে বসার ঝামেলা করতে মন চাইবে না।
৫. একবারে একটি অভ্যাস ত্যাগে মন দিন
একসঙ্গে অনেকগুলো বদভ্যাস ধারণ করতে পারে মানুষ। তাই একবারে একটি অভ্যাস ভাঙার কাজে মন দিন। একবারে একাধিক অভ্যাস ভাঙতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে যে অভ্যাসটি কষ্ট দিচ্ছে আপনাকে, তাকে দূর করার কাজে মন দিন।
৬. সফলতায় নিজেকে ধন্যবাদ দিন
একটি বাজে অভ্যাস দূর করতে পারা মানে আপনি বড় কিছু করে ফেলেছেন যা প্রশংসার দাবিদার। কাজেই নিজের সফলতায় নিজেকে ধন্যবাদ দিন। উৎসাহ বাড়লে পরেরটিকে গলা চেপে ধরুন। এই সফলতা আপনাকে আনন্দ দেবে এবং পরের সফলতার জন্য আরো বেশি ক্রিয়াশীল হয়ে উঠবেন আপনি।
৭. সম্ভব হলে কাউবে সঙ্গে নিন
যদি সম্ভব হয়, অভ্যাস ভাঙার কাজে অন্যকে সঙ্গী করে নিন। বন্ধুদের মধ্যে আর কে কে একই সমস্যায় ভুগছেন? তাদের একাট্টা করুন। সবাই না থাকলেও চলবে, একজন থাকলেই যথেষ্ট। এতে একজনকে দেখে অন্যজন আরো বেশি ক্রিয়াশীল হবে। এতে একজন অন্যজনের দ্বারা প্রভাবিত হবেন এবং কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে।
৮. নিজের ওপর আস্থা রাখুন
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এ কাজে নিজের ওপর আস্থা রাখতে হবে। সমস্যা যতো বড়ই হোক আর যতো কঠিনই হোক না কেনো। মনে রাখবেন, অভ্যাসের চেয়ে আপনি নিজেই অনেক বেশি শক্তিশালী। নিজের কাজ, ভালো অভ্যাস, বদভ্যাস এ সবকিছুরই নিয়ন্ত্রক আপনি। কাজেই আস্থা হারাবেন না।
৯. ধৈর্য্যশীল হোন
বদভ্যাস দূরীকরণের কাজে ধৈর্য্য হারানো চলবে না। কিছু সময় তো দিতেই হবে। যে পদ্ধতিই অনুসরণ করুন, তার জন্য সময় দিতে হবে। কাজেই কোনো অবস্থাতেই ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটা চলবে না। সূত্র : ইন্টারনেট 

মেয়েদের মন পাওয়ার সময়োপযোগী ২০টি উপায়

মেয়েদের মন পাওয়ার সময়োপযোগী ২০টি উপায়


অনেক পুরুষের জীবনে সাধনার বিষয় নারী। ভালোবাসার নারীকে না পেয়ে অনেক পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। কেউবা নারীদের প্রতি আসক্ত হয়ে সুন্দর জীবনটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছেন।

এমন অনেক ঘটনা ঘটে। দেখা যায়, কোন পুরুষ সারাদিন হয়তো প্রিয়তমার কথা ভেবে আবেগের বসে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই নারী কি ঐ ছেলেটিকে নিয়ে এক মুহূর্তও চিন্তা করে?। নারীদের মন জয় করার জন্য একদল গবেষক বিশটি উপায় খুজে বের করেছেন। আসুন জেনে নেই কি করে আপনার কাঙ্খিত নারীর মন জয় করবেন।

১. ভালবাসার প্রথম শর্ত হল প্রিয়মানুষটার কাছে সৎ থাকা। তার কাছে কোনকিছুই গোপন করা যাবে না।

২. প্রিয়তমাকে তার দূর্বলতার কথা তুলে রাগানো যাবে না।

৩. আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পুরুষদের পছন্দ করে। প্রিয়মানুষের মানসিক ও শারীরিক চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

৪. নিজের অর্থসম্পদের চেয়ে তাকে বেশি ভালবাসতে হবে। প্রত্যেক নারী তার প্রিয়জনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ভালবাসা পেতে চায়। নারী চায় তার প্রিয়মানুষ তার প্রতি যত্মবান হোক। সবকিছুর উর্ধ্বে তাকে দেখুক।

৫. মেয়েরা হাস্য-রস পছন্দ করে। যেসব ছেলেরা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসি তামাশা করতে পারে, মেয়েরা ঐসব ছেলেদের পছন্দ করে।

৬. মেয়েরা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও ফিটফাট থাকতে পছন্দ করে। মেয়েরা চায় তার ভালোবাসার মানুষটি সব সময় কেতাদুরস্ত থাকুক।

৭. প্রিয়তমাকে প্রশ্ন করার সুযোগ করে দিতে হবে। সে কি জানতে চায় সেদিকে থেয়াল রাখতে হবে।

৮. নিজের পরিবারের সম্পর্কে তার সামনে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এতে মেয়েরা নিজেদের অনেকটা নিরাপদ মনে করে।

৯. ফেলে আসা জীবনে যেসব মেয়েদের সঙ্গে আপনার প্রেম ছিল। সেসব গল্প নাইবা বললেন আপানার প্রিয়তমাকে। যদি সে কখনো জানতে চায় তবেই বলা যেতে পারে।

১০. মেয়েরা কথার ছলে গল্প বলতে ভালোবাসে। আপনার প্রিয় মানুষটির গাল-গল্পে বিরক্ত হবেন না যেন। তাহলে সে আপনার উপরে চটে যাবে।

১১. প্রিয়তমার সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে আবেগ প্রকাশ করে কথা বলুন। এতে মেয়েরা খুশি হয়।

১২. আপনার মনে বেদনার পাহাড় জাগতে পা্রে। তাই বলে সবাইকে বলে কয়ে বেড়াবেন এমন নয়। প্রিয় নারীকেও আপনার দুঃখ-কষ্ট বুঝতে দেবেন না। বরং হাসি খুশি থাকুন।

১৩. কথায় বলে প্রকৃতি শুন্যস্থান পছন্দ করে না। তাই যথাসম্ভব প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকুন। তাকে ঘনঘন সময় দিন।

১৪. প্রিয়মানুষটির পছন্দ-অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখুন। তার ভালো লাগা, মন্দ লাগার বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।

১৫. প্রিয়তমার সঙ্গে কখনো অন্যকোন নারীর তুলনা করবেন না। কোন নারীর তুলনা পছন্দ করেন না।

১৬. অনেকে মনে করেন প্রেমিকার সঙ্গে বন্ধত্ব করা যায় না। কথাটি ভুল। আগে বন্ধুত্ব পরে প্রেম।

১৭. প্রেমিকার বিশ্বাসে কখনো আঘাত করবেন না।তার নিজস্ব চিন্তা-চেতনাকে সম্মান করুন।

১৮. প্রিয়তমার শরীরের মোহে না পরে তার মনের গুরুত্ব দিন। শরীর বৃত্তিয় ভালোবাসা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ভালোবাসুন মনে থেকে। তাহলে শরীর মন দুটোই পাবেন অনায়াসে।

১৯. প্রকৃতিগত ভাবেই নারীরা কোমল। তাই প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার সময় সময় কখনো কঠোর হবে না। কোমল সুরে নারীর সঙ্গে কথা বলুন।

২০. মেয়েরা খুব আবেগ প্রবণ। তারা সব সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে ভালোবাসে। তাই আপনার প্রিয়মানুষটির পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখুন। খোঁজ খবর নিন।

মনে রাখবেন ভালোবাসা এমনি এমনি আসে না। ভালোবাসা পেতে হলে আগে ভালোবাসা দিতে হয়। প্রেম-ভালোবাসা হল সুন্দরের আরাধনা। নারীর মন বুঝতে হলে নারীর সঙ্গে ঐ ধরনের আচরন করুন য্টো সে পছন্দ করে। তাহলেই দেখবেন সে আপনার প্রতি ভালোবাসায় বিগলিত হয়ে গেছে।

তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারের কথা জেনে নিন

তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারের কথা জেনে নিন

অনেকেই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার উপকারিতা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নয় এবং সে কারণে দেরি করে ঘুমাতে যান। আর এর ফলে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়ার আগেই উঠে পড়তে হয়। কিন্তু আপনি যদি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার উপকারিতাগুলো জানতে পারেন তাহলে হয়তো এ অভ্যাস ত্যাগ করবেন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমানোয় আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
১. উদ্যম
আমরা সব সময় আরও উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল হতে চাই। আর তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার মাধ্যমে এ কাজ করা সম্ভব হয়। দিনের কার্যক্রম চালানোর জন্য আপনি যখন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবেন তখন আপনি আরও বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যম বোধ করবেন। আর ভালো ঘুমের পর সকালে উঠেই পরিপূর্ণভাবে সে উদ্যম পাওয়া সম্ভব। আর রাতে একটি ভালো ঘুমের পর দিনেও আপনি সহজে ক্লান্ত বোধ করবেন না। এ উদ্যম পরিপূর্ণভাবে কাজ করার জন্য মাঝরাতের যতোটা সম্ভব আগে ঘুমাতে যেতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় রাত নয়টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমানোর পরিকল্পনা করতে পারলে।
২. সৌন্দর্য
দেহের সৌন্দর্যের সঙ্গে ঘুমের অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আপনি যদি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান তাহলে তা আপনার ত্বকের সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দেবে। পর্যাপ্ত ঘুম বাদ দিয়ে হাজার প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমেও কখনোই সৌন্দর্য রক্ষা করা সম্ভব নয়।
৩. সময় ব্যবস্থাপনা
অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং তাড়াতাড়ি ওঠা অসম্ভব বলে মনে হয়। এ কারণে আমরা অনেকেই আশা করি প্রতিটি দিন যদি কয়েক ঘণ্টা বড় হতো! কিন্তু এ ঘটনা ঘটে আপনার দুর্বল সময় ব্যবস্থাপনার কারণে। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা অনেক বেশি সৃষ্টিশীল কাজ করতে উৎসাহ যোগায়।
৪. ভালো মন
যারা তাড়াতাড়ি ঘুমায় এবং উঠে তাদের মন ভালো থাকে। এর কারণ যারা তাড়াতাড়ি ঘুমায় তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় এবং তার ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর তাদের মন ভালো থাকে।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণ
কিছু মানুষ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শারীরিক পরিশ্রম ও খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু তার পরেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন। বহু মানুষের ক্ষেত্রে এর কারণ হিসেবে দেখা যায় ঘুম। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুমালে মানুষের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
৬. বয়সের ছাপ কমানো
রাতে ভালো ঘুম না হলে মানুষের মুখে বলিরেখা পড়ে এবং চোখের নিচে ‘আন্ডার-আই সার্কলস’ দেখা যায়। এ কারণে অনেক তরুণ তরুণীকেও কয়েক বছর বেশি বয়সি বলে মনে হয়। কিন্তু তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর এর ফলে অনেক মানুষকে কমবয়সী দেখায়।
৭. রোগ প্রতিরোধ
তাড়াতাড়ি ঘুমানো হলে মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথাসহ কয়েকটি মানসিক রোগ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়। আর এ অভ্যাস গড়ে তুললে আপনার পেটও আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে। আর এর ফলে আপনার ত্বক ও চোখ সুস্থ থাকবে। ফলে আপনার শরীরের নানা রোগ-ব্যাধির বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে।

দুর্ঘটনাক্রমে পাওয়া ১৩টি আবিষ্কার যা পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে

দুর্ঘটনাক্রমে পাওয়া ১৩টি আবিষ্কার যা পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে 

প্রয়োজন সব সময় উদ্ভাবনের ক্ষেত্র তৈরি করে না। দুর্ঘটনাক্রমেও অনেক বিশাল আবিষ্কার হয়েছে। আমাদের রোগের চিকিৎসা, তৃপ্তির খাবার এবং প্রতিদিনকে আনন্দময় করতে বিজ্ঞান যেসব জিনিস দিয়েছে তার সবকিছুই কিন্তু খুব ভেবে-চিন্তে বের করা হয়নি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রয়েছে যা হঠাৎ করেই আবিষ্কৃত হয়ে গেছে।
এখানে দেখুন এমনই ১৩টি আবিষ্কার যা হঠাৎ করে আমরা পেয়ে গেছি এবং যেগুলো বদলে দিয়েছে পৃথিবী।
১. স্লিংকি : ১৯৪৩ সালে রিচার্ড জোনস এমন একটি মিটার ডিজাইন করতে চেয়েছিলেন যা যুদ্ধের জাহাজের শক্তি পর্যবেক্ষণ করবে।
টানটান একটি স্প্রিং নিয়ে কাজ করার সময় হঠাৎ একটি স্প্রিং নিচে পড়ে এক জায়গায় অবস্থান করে এপাশ-ওপাশ করতে থাকে। ব্যাস, জন্ম হলো আজকের স্লিংকির।
২. কোকা-কোলা : ফার্মাসিস্ট জন পেমবার্টন এই জনপ্রিয় পানীয়টি আবিষ্কার করেন। ১৮৮০ এর দশকে আটলান্টায় বসবাসের সময় পেমবার্টন মদ ও কোকো দিয়ে তৈরি এক ধরনের সিরাপ বিক্রি করতেন যার নাম ছিলো 'পেমবার্টনস ফ্রেঞ্চ ওয়াইন কোকা'। দুর্বলতা এবং মাথাব্যথা নিরাময়ের কাজে এ সিরাপ ব্যবহার করা হতো। ১৮৮৫ সালে আটলান্টায় মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হলে পেমবার্টন খাঁটি কোকা দিয়ে কার্বনেটেড পানীয় হিসেবে সিরাপটি বানান যা আজকের কোকা-কোলা।
৩. চকোলেট চিপ কুকি : টল হাউজ ইন এর মালিক রুথ ওয়েকফিল্ড চকোলেট কুকি বানাতে গিয়ে আজকের জনপ্রিয় চকোলেট চিপ কুকি বানিয়ে ফেলেন। ১৯৩০ এর দিকে বেকারস চকোলেটে কাজ করার সময় এই নারী কুকির কাঁচা অংশে চকোলেট ছোট ছোট করে কেটে দিয়ে দেন।
৪. আলুর চিপস : নিউ ইয়র্কের ক্যারি মুন লেক হাউজের শেফ জর্জ ক্রাম ১৮৫৩ সালের একদিন এক ক্রেতার জন্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাচ্ছিলেন। দেওয়ার পর ওয়েটার তা ফিরিয়ে নিয়ে আসেন এবং শেফকে বলেন তা আরো পাতলা এবং মচমচে করে দিতে। শেফ রেগে গিয়ে একেবারে পাতলা করে আলু কাটেন এবং তা খটখটে না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকেন। তৈরি হয় আজকের পটেটো চিপস।
৫. পেসমেকার : ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জন হুপস হাইপোথারমিয়া নিয়ে গবেষণা করছিলেন এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে দেহের তাপমাত্রা ফেরাতে কাজ শুরু করেন। তিনি বুঝতে পারেন, যদি ঠাণ্ডায় হৃদযন্ত্র কাজ বন্ধ করে দেয় তবে একে কৃত্রিমভাবে চালু করা যাবে। এই উপলব্ধি থেকেই ১৯৫১ সালে তৈরি হয় পেসমেকার।
৬. সিলি পুটি : জেনারেল ইলেকট্রিকে কর্মরত প্রকৌশলী জেমস রাইট এটি আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্লেনের টায়ার, গ্লাভস ইত্যাদির জন্য রাবারের প্রয়োজন হয়। এর বিকল্প হিসেবে জেমস সিলিকন থেকে কিছু একটা বানানো চেষ্টায় ছিলেন।
১৯৪৩ এর দিকে হঠাৎ একদিন তিনি সিলিকন ওয়েলে বরিক এসিড দিলেন। এতে আঠালো এবং বাউন্স করে এমন এক ধরনের পদার্থ তৈরি হয়। এর বাস্তবিক ব্যবহার তিনি তৎক্ষণাত বুঝতে না পারলেও খুব শিগগিরই সিলি পুটি দারুণ কাজের বস্তুতে পরিণত হয়।
৭. মাইক্রোওয়েভ ওভেন : ১৯৪৬ সালের দিকে রেথিওন করপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার পারসি স্পেন্সার বায়ুশুন্য টিউবের মধ্যে রাডার সংক্রান্ত একটি পরীক্ষা করছিলেন। এটি করার সময় তার পকেটে থাকা একটি ক্যান্ডি গলতে শুরু করে এবং তিনি তা খেয়াল করেন।
তিনি দ্রুত কিছু কর্ন সেখানে দিলেন। মুহূর্তেই হয়ে গেলো পপকর্ন। তৈরি হলো আজকের অতি প্রয়োজনীয় মাইক্রোওয়েভ ওভেন।
৮. ওষুধ হিসেবে এলএসডি : ১৯৩৮ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি ল্যাবরোটরিতে রসায়নবিদ অ্যালবার্ট হফম্যান লিজারসিক এসিড নিয়ে কাজ করছিলেন। এর যাবতীয় বিষয় নিয়ে গবেষণাকালে তিনি অসচেতনভাবে সামান্য অংশ গিলে ফেলেন। এর মাধ্যমে বের হয়ে আসে মানুষকে অকল্পনীয় কাল্পনিক জগতে নেওয়ার একটি ওষুধ এলএসডি। খোদ স্টিভ জবস বলেছেন, জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ যে দুই-তিনটি কাজ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হলো, এলএসডি নেওয়া।
৯. স্যাকারিন : জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কনস্টেনটাইন ফালবার্গ ১৮৭৯ সালে কয়লার নতুন ব্যবহার নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। কোনো এক পর্যায়ের পরীক্ষার পর কয়লার গাদ লেগেছিল তার হাতে। গবেষণার ফাঁকে বিস্কটি খেতে গিয়ে খেয়াল করলেন, তা আগের চেয়ে অনেক বেশি মিষ্টি লাগছে। পেয়ে গেলেন স্যাকারিন।
১০. পোস্ট-ইট নোট : ১৯৬৮ সালের কথা। থ্রিএম ল্যাবরোটরিতে কাজ করতেন স্পেন্সার এবং আর্ট ফ্রাই। স্পেন্সার তার বানানো হালকা আঠার কোনো ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এই আঠার বৈশিষ্ট্য ছিলো তা হালকা কিছুকে বোর্ডে বা দেয়ালে লাগিয়ে রাখতে পারতো। আবার তুলে ফেললে দুটো স্তরের কোনোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। একদিন তার বন্ধু বইয়ে ছোট ছোট নোট লিখা কাগজ লাগানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সমাধান না পেয়ে মেজাজ খারাপ তার। এ বিষয় নিয়ে দুই বন্ধুর কথোপকথনের সময় বের হয়ে আসে পোস্ট-ইট নোটস এর ধারণা।
১১. স্কচগার্ড : থ্রিএম এর কেমিস্ট প্যাস্টি শেরম্যান ১৯৫৩ সালে এয়ারক্র্যাফটের জ্বালানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এমন একটি রাবার বানানোর কাজ করছিলেন।
একটি তরলের মিশ্রণ নিয়ে কাজ করার সময় হঠাৎ সেখান থেকে একটি ফোঁটা তার জুতোয় পড়ে। শেরম্যান খেয়াল করেন, তার জুতো ময়লা থাকলেও ফোঁটা যেখানে পড়েছিল সে স্থানটি চকচক করছে। এটি নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন যা আজকের স্কচগার্ড।
১২. কর্ন ফ্লেকস : জন এবং উইল কেলগ শস্যকণা থেকে গ্র্যানোলা বানানোর চেষ্টা করছিলেন। ১৮৯৮ সালের ঘটনা, তারা বিভিন্ন শস্যকণা জাল দিতে গিয়ে তা ভুলে কয়েকদিন একটি স্টোভে রেখে দেন। এতে শস্য জাল হয় এবং শুকনো ও পাতলা হয়ে যায়। এতে কয়েকটি বৈজ্ঞানিক কারিগরি ফলানোর পর ভেজা ভাব চলে যায় এবং আজকের কর্ন ফ্লেকস তৈরি হয়।
১৩. পেনিসিলিন : স্যার আলক্সান্ডার ফ্লেমিং এই বিস্ময়কর ওষুধ হঠাৎ করেই তৈরি করেন। এ বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে তিনি তা ছুড়ে ফেলে দেন এবং তখনই যা চাচ্ছিলেন তা পেয়ে যান। ১৯২৮ সালের একদিন ফ্লেমিং দেখেন যে, তার পেট্রি ডিসে যে পদার্থ তৈরি হয়েছে তা সব ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলছে। সেখান থেকেই তৈরি হয় বিস্ময়কর অ্যান্টিবায়োটিক পেনিসিলিন। ১৯০০ সাল থেকে সংক্রমণের কারণে মানুষ যেভাবে মারা যেতো, পেনিসিলিন আবিষ্কারের পর মৃত্যুর হার বিশ ভাগের এক ভাগ কমে গেছে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু জনপ্রিয় সাতটি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য

স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু জনপ্রিয় সাতটি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য

বিশ্বজুড়ে ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন কেমিস্টরা। তারাই মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রস্তুতের নানা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। আবার তারাই জানেন, কোন খাবারগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এমন বহু খাবার গোটা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে। এখানে বিশেষজ্ঞরা সাতটি প্রক্রিয়াজাত খাবারের কথা বলছেন যা মানুষের দেহে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
১. সফট ড্রিংকস
বাণিজ্যিকভাবে প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরির শুরুর দিকের একটি অস্বাস্থ্যকর পানীয় হলো কার্বোনেটেড বেভারেজ। ১৭৭২ সালে জোসেফ প্রিস্টলি একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন যা কার্বোনেটেড বেভারেজ তৈরি করতে পারে। এই সফট ড্রিংকস ফার্মাসিস্টদের দ্বারাই হেলথ ড্রিংকস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাস্তবতা হলো, এটি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য নয়। কারণ এই পানীয়ের সোডার কারণে অস্টিওপরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. এমএসজি
মনসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) ১৯০৯ সাল থেকে খাবারের স্বাদ-গন্ধ বৃদ্ধিকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। খাবারের গন্ধ বাড়ালেও এর স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এমএসজি এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা মস্তিষ্কের কোষ উত্তেজিত করে তোলে। বিভিন্ন খাবারে ফ্লেভার ব্যবহার করা হয় এবং তা বিভিন্ন নামে পরিচিত।
৩. মার্গারিন
মাখনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের জন্য ফ্রান্সে নেপোলিয়ন তৃতীয় এর সময় প্রস্তুত করা হয় মার্গারিন। নেপোলিয়ন ভেবেছিলেন, ফ্রান্সের নেভি সদস্য এবং দরিদ্র মানুষদের মাখনের চাহিদা মেটাতে কম দামে মাখনের বিকল্প তৈরি করা প্রয়োজন। এমন খাবার যে বানানোর জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করেন তিনি। ১৮৬৯ সালে কেমিস্ট হিপোলি মিগে মরিস মাখনের বিকল্প মার্গারিন প্রস্তুত করেন যা বহু মানুষের হৃদরোগের জন্য দায়ী। কারণ এটি ক্ষতিকর হাইড্রোজেনেটেড তেল দিয়ে তৈরি করা হয়।
৪. ব্লিচড আটা
১৯০০ এর প্রথম দিকে সাদা রঙের আটা প্রস্তুতের জন্য ব্লিচিং এবং অক্সিডাইজিং উপাদানের ব্যবহার শুরু হয়। ব্লিচিং এতটাই মারাত্মক ক্ষতিকর ছিলো যে, পিওর ফুড অ্যান্ড ড্রাক অ্যাক্ট এর জনক ড. হার্ভে ডব্লিউ উইলে মামলা ঠুকে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট অবধি যান। সর্বোচ্চ আদালত ব্লিচিং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও দুর্ভাগ্যবশত আইনের প্রয়োগ ছিলো না। তাই আজও আমরা ব্লিচড আটা-ময়দা খাই।
৫. স্যাকারিন
১৮৭৮ সালে দুর্ঘটনাবশত স্যাকারিন আবিষ্কার করে ফেলেন রসায়নের এক প্রফেসর। পরীক্ষাগারে কয়লার এক ধরনের গাদ পেয়ে যান যার স্বাদ চিনির মতো মিষ্টি। ব্লিচিড আটার মতো স্যাকারিন ব্যবহারের বিরোধীতা করেছিলেন ড. উইলে। কিন্তু এটা এতোটাই জনপ্রিয়তা পায় যে তিনি কাউকে বোঝাতে পারেননি যে, স্যাকারিন কতোটা অস্বাস্থ্যকর। এমনকি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট পর্যন্ত ক্যালরিমুক্ত এই চিনি পেয়ে বেজায় খুশী হয়ে যান। অথচ স্যাকারিন কারসিনোজেনিক সাবস্টেন্স যা কিন্তু মোটেও মিষ্টি নয়।
৬. খাবারের রঙ
১৮৫৬ সালে সিনথেটিক রঙ আবিষ্কার হয়। পরবর্তীতে এই রঙে রসায়ন ফলিয়ে খাবারে ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৫০ সালে আমেরিকায় হ্যালোয়েন উৎসবে কমলা রঙ করা ক্যান্ডি খেয়ে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাবারের রঙও কারসিনোজেনিক পদার্থ যা হাইপারসেনসিটিভ সমস্যার সৃষ্টি করে।
৭. সয় প্রোটিন আইসোলেট
১৯৩৬ সালে সয় প্রোটিন আইসোলেট আবিষ্কৃত হয়। রঙিন কাগজ, আঠা এবং রঙ তৈরিতে এই প্রোটিন ব্যবহার করা হয়। পরে কৃষকরা এটা গরু-ছাগলকে খাওয়ানো শুরু করে এবং এক সময় সয় প্রোটিন আইসোলেট মানুষের খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। এটি তৈরিতে এসিডে ধোয়া, ক্ষারে ডোবানে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় রাখার মতো প্রক্রিয়া চলে যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। তা ছাড়া এটি হজম হওয়া প্রায় অসম্ভব

নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে যে ১০টি শব্দ কখনো ব্যবহার করবেন না

নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে যে ১০টি শব্দ কখনো ব্যবহার করবেন না

কারো প্রশংসা করতে আমরা নানা বিশেষণ ব্যবহার করি।  তবে এসব ব্যবহারে সচেতন ও সতর্ক থাকা জরুরি। কেউ আপনাকে 'ক্যারিশম্যাটিক' বললে বেজায় খুশী হয়ে যাবেন। কিন্তু আপনি যদি নিজেকেই 'ক্যারিশম্যাটিক' বলেন, তবে সবাই বুঝবেন আপনি জোকার। এমন আরো দশটি শব্দ জানুন যেগুলো নিজের সম্পর্কে ব্যবহারের আগে সতর্কতা প্রয়োজন।
১. উদার : মানুষের জীবনের লেনদেনে উদারতা সবার কাছেই প্রশংসনীয়। এই প্রশংসা অর্জন করতে হয়, দাবি করা যায় না বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্ট অ্যাডাম গ্রান্ট। আপনার কার্যকলাপে অন্যরা আপনাকে 'উদার' বিশেষণে বিশেষায়িত করবেন। কেউ নিজেকে উদারমনা বললে তা সমালোচনার জন্ম দেবে। সত্যিকার উদার মানুষরা নিজেদের উদার বলে মনে করেন না এবং উদারতার ক্ষেত্রে কোনো হিসেব থাকে না। তাই নিজেকে উদার বলে দাবি করাটা বোকামি।
২. বিনয়ী : আপনি নিজেকে বিনয়ী বলে মনে করলে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা হলে কী করবেন? সত্যিকার বিনয়ীরা নিজেদের বিনয়ী বলেন না। কারণ তারা এতোই বিনয়ী যে, নিজেদের বিনয়ী বলতে নারাজ।
৩. আত্মনিয়ন্ত্রণ : যাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তাদের এমনটি থাকলে সংগ্রাম চালিয়ে যান, তারা অন্যের চোখে প্রশংসনীয়। কারণ এটা কঠিন বিষয় যার পেছনে দিন-মাস-বছর সময় দিয়ে অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। এ কাজে ব্যস্ত মানুষরা আজীবন আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালাতেই থাকেন। অন্যরা সুনাম করতেই পারেন। কিন্তু আপনিই শেষ ব্যক্তি যিনি নিজেকে আত্মনিয়ন্ত্রণিত ব্যক্তি বলে দাবি করতে পারেন।
৪. আবেগপ্রবণ : আপনি যে আবেগপ্রবণ তা দাবি করতে পারেন না। এটা দেখানোর বিষয় এবং অন্যরা আপনাকে আবেগপ্রবণ বলে উপাধি দেবেন। ভালো বুদ্ধিটা হলো, আবেগ প্রিয়জনের জন্য জমিয়ে রাখুন।
৫. রসিক : অনেকেই আছেন যারা রসিক। তবে তারা সহজাতভাবেই রসিক এবং অন্যদের কাছে দারুণ প্রিয়। যারা নিজেদের রসিক বলে মনে করেন তাদের সহচার্য শিগগিরই অসহ্য হয়ে ওঠে। আর যারা রসিক এবং নিজেদের রসিক বলে দাবি করেন না, তাদেরকে আপনারও রসিক বলে সম্বোধন করা উচিত নয়।
৬. সহানুভূতি : এটি এমন এক মনস্তাত্ত্বিক বিষয় যার মাধ্যমে অন্যের আবেগ-অনুভূতি উপলব্ধি করা যায়। তবে আবেগপ্রসূত বিষয় অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি না করতে পারলে সহানুভূতিশীল বলা যায় না। সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা, উপকারিতা, ভালোবাসা দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে সহানুভূতি প্রকাশ পায়। আপনার সহানুভূতি পেয়েছে এমন কেউ আপনার এই গুণ প্রকাশ করতে পারেন, অন্য কেউ নন।
৭. ভয়হীন : সবার মধ্যেই ভয় কাজ করে। সাহসিকতার মাঝে যে ভয় নেই তা কিন্তু নয়। কাজেই আপনার যে ভয় নেই তা বলতে পারেন না। তাই আপনি সাহসী হতে পারেন, কিন্তু ভয়হীন বলতে পারেন না।
৮. অকপট : আপনি সোজাসাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করেন- এ কথাটি নেতিবাচক শোনায়। এতে অভদ্র, আগ্রাসী এবং বেয়াদবির মতো বদগুণ প্রকাশ পায়। তাই সোজা কথা বলার আগে 'যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক' ধরনের কথা বলে নেওয়াটা জরুরি। সেক্ষেত্রে অন্যরা একে ভালো গুণ হিসেবে প্রশংসা করে বলবেন, আপনি অকপটে উচিত কথা বলেন।
৯. মানিয়ে নেওয়া : চাকরি নেই, সুখ নেই, কাজের সুযোগ নেই, অর্থ নেই; কিন্তু তবুও আমরা বেঁচে আছি। কারণ আমরা সবকিছুই গ্রহণ করতে পারি। তাই সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারাকে আলাদাভাবে উল্লেখ করার কিছু নেই। কারণ সবাই মানিয়ে চলেন।

১০. স্বাধীন : আত্মনির্ভরশীলতা ভালো বিষয়। আপনি নিজেই নিজের দেখভাল করতে পারেন, অন্যের ওপর নির্ভরশীল নন। কিন্তু এ বিষয়টিকে 'স্বাধীন' বলে প্রকাশ করা যায় না। কারণ সমাজের মধ্যে আপনি স্বাধীন বলতে বোঝায়, পরিবারের কথা না শোনা ব্যক্তি বা বন্ধুমহলের বন্ধুত্বসুলভ নন বা খেলার দলে কোচের নির্দেশ না মানা ব্যক্তিটি আপনি। আপনি কাউকে কেয়ার করেন না এবং একান্তই নিজের ইচ্ছেমতো চলেন মানেই আপনি স্বাধীন। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

জোনাকির আলো রহস্য

জোনাকির আলো রহস্য
ঘুটঘুটে অন্ধকারে হাজার হাজার জোনাকি মিটমিট করে আলো দিচ্ছে এমন দৃশ্য অতীতে গ্রাম বাংলায় প্রায়ই দেখা যেত। কিন্তু আপনি কি জানেন, জোনাকির এই আলোর জ্বলা-নেভার মাঝে রয়েছে বিশেষ একটি সংকেত? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রধানত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় বাস করে জোনাকি পোকা। জোনাকির উদরে দুই ধরনের রাসায়নিক পদার্থের বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয় এ আলোকদ্যুতির। কিন্তু কিভাবে জোনাকি পোকারা এ আলো জ্বালায় ও বন্ধ করে, বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। তবে জানা গেছে, বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করতেই তারা এ কাণ্ড করে।
জোনাকির আলো জ্বালানো নেভানোর বিষয়টি যদি লক্ষ করেন তাহলে দেখতে পাবেন প্রত্যেক জোনাকির আলো জ্বলা-নেভার ভিন্ন ভিন্ন সময় রয়েছে। আর এ জ্বলা-নেভার ভিন্নতা সৃষ্টি হয় তাদের প্রজাতিগত ভিন্নতা থেকে।
পুরুষ জোনাকিরা স্ত্রী জোনাকিকে আকর্ষণ করার জন্য অন্ধকারে ঝোপ-জঙ্গলে তাদের আলো জ্বলা-নেভা করে। এ সময় কোনো স্ত্রী জোনাকি সেই আলো দেখে আকর্ষিত হয় এবং পাল্টা আলো জ্বলা-নেভা করে তার উত্তর দেয়। এভাবে স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও মাঝে মাঝে এ আলো তাদের জন্য ফাঁদ হয়ে ধরা দেয়। কারণ অনেক জোনাকি আবার এ আলো দেখে আকর্ষিত হয়ে গিয়ে দেখে, ডেটিংয়ের বদলে সেখানে অপেক্ষা করছে মৃত্যু। অনেক জোনাকি তাদের উদরপূর্তির জন্যও এ কৌশল কাজে লাগায়।

যে বদঅভ্যাস গুলো আপনাকে দ্রুত বুড়িয়ে দিচ্ছে

যে বদঅভ্যাস গুলো আপনাকে দ্রুত বুড়িয়ে দিচ্ছে

বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের উপর অনেক প্রভাব পরে। এর মধ্যে অন্যতম হল ত্বকের উপর প্রভাব। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুড়িয়ে যাওয়া অনিবার্য। কারও ৩০ এর পর বয়সের ছাপ পড়ে, কারও বা ৪০ আবার অনেকের এর পরেও বয়সের ছাপ পড়া শুরু করে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক অভ্যাস আছে যা আমাদের বয়স ৩০ হওয়ার আগেই বুড়িয়ে যেতে সাহায্য করছে। তাই যদি আপনারও এমন কোন অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে অতিসত্বর এসব বদঅভ্যাস থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করুন।

অহেতুক চোখ ঘষাঃ
ডার্মাটোলজিস্টদের মতে চোখের নিচে ও উপরের সুক্ষ্ণ অংশ ধরে ঘষা-টানা করলে চোখের নিচে ডার্ক-সার্কেল পরার সুবিধা বেশি থাকে। সাধারণত চোখের ভেতর কিছু ঢুকলে বা চোখ চুলকালে চোখ ঘষে আমরা আরাম পাওয়ার চেষ্টা করি যা একেবারেই ঠিক নয়। এর কারণে চোখের নিচের চামড়া পাতলা হয়ে যায় ও ঝুলে যায়।

চর্মসার(skinny)=৩০ এর আগেই বুড়িঃ
এখন স্কিনি বা চর্মসার হওয়াকে অনেকে ট্রেন্ডি মনে করে। শুকালে ভালো দেখায় ঠিকই, তবে শুকাতে শুকাতে যদি চর্মসারের পর্যায়ে চলে যান তাহলে আপনার মুখের চর্বি কমে যাবে ও মুখের চামড়া দমে যাবে ও কৃশকায় ভাব চলে আসবে যা বয়স বাড়ার আগেই আপনাকে বুড়ো দেখাতে সাহায্য করবে।

যদি রাতের পেঁচা হয়ে থাকেনঃ
১৫-২৫ বছর বয়সে সবচেয়ে বেশিরভাগ মানুষ রাত জাগতে পছন্দ করে। রাত জাগার ফলে শরীরের যে ক্ষয় হয় তা বুড়ো দেখানোর অন্যতম কারণ। কেননা পরিমিত ঘুমের অভাবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরে চোখের উপর। চোখের ক্লান্ততা আপনার বয়সকে ১০ বছর বাড়িয়ে দিতে পারে। দৈনিক কতটুকু ঘুম আপনাকে সেরা দেখাতে পারে জানার জন্য দুই সপ্তাহে আপনি মোট যত ঘন্টা ঘুমান ও শুয়ে থাকেন তা যোগ করে তাকে ১৪ দিয়ে ভাগ করে নিন।

শুধু ওজন কমানোর জন্যই ব্যায়ামঃ
হঠাৎ করে ওজন কমানোর ইচ্ছা হলেই অনেকে ব্যায়াম শুরু করে দেয়। ১ অথবা ২ সপ্তাহ পরে দেখা যায় অধিকাংশই ব্যায়াম ছেড়ে দেয়। অনেকে আবার প্ল্যান মত ওজন কমিয়ে তারপরেও বন্ধ করে দেয় ব্যায়াম করা। মনে রাখবেন এমনটি করলে কিন্তু আপনি নিজের আয়ুকেই ধোকা দেবেন। রিসার্চে দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদের আয়ু বৃদ্ধি পায় ও বয়স সম্পর্কিত রোগ কম হয়। দৈনিক ২০ মিনিট ব্যায়াম আপনাকে তরুণ দেখাতে অনেক যাহায্য করবে। একবার ব্যায়াম শুরু করে ছেড়ে দিলে আপনার হারানো ওজন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি এবং এর কারণে আপনাকে বয়স্কও লাগবে।

ধূমপানঃ
ধুমপানের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এটি সবারই জানা। এখন জেনে নিন এর কারণে যে তারুণত্বও চলে যায় তারাতারি। ধূমপানের কারণে শরীরের বেশ কিছু এনজাইম কাজ করা শুরু করে যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট করে দেয় ফলে বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

পাশ ফিরে বা মুখের উপর ঘুমানঃ
অবাক হচ্ছেন জেনে? পাশ ফিরে বা পেটের উপর ভার দিয়ে ঘুমানোর কারণেও কিন্তু আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। দৈনিক ৮ ঘন্টা বালিশের উপর মুখ চাপ দিয়ে ঘুমালে বলিরেখা পরতে পারে, ফলে আপনাকে দ্রুত বুড়ো দেখাবে।

মিষ্টির প্রতি দুর্বলতাঃ
চিনি ও চিনি জাতীয় খাবার শরীরের প্রতিটি অংশ বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য খুব ভালো কাজ করে। তাই যত পারবেন মিষ্টি জাতীয় খাদ্য থেকে দূরে থাকবেন। এছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার আপনার পেটে মেদ জমাবে যা আপনাকে মোটেও সুন্দর দেখাতে সাহায্য করবে না।

ফল ও সবজী না খাওয়াঃ
অনেকেই আছে যারা ফল ও সবজী না খেয়ে চলতে বেশি পছন্দ করে। যদি আপনি স্বাস্থ্যকর পক্কত্বা চান আপনার শরীরের জন্য তাহলে আপনাকে রঙ্গিন ফল ও সবজী খেতে হবে।

আক্রোশ ধারণ ও অসন্তুষ্টিঃ
জীবনে যা পেয়েছেন তাতে যদি সন্তুষ্ট না হয়ে থাকেন এবং অতীতে যা হয়েছে তা যদি ভুলতে না পারেন তাহলে আপনি আপনার জীবনে বার্ধক্যকে স্বাগতম জানাতে পারেন। কারও প্রতি আক্রোশ ধরে রাখলে শরীরে ও মনের উপর ধকল আসে যা শরীরে হরমোন করটিসলের স্তরকে উত্তোলন করে ও ঘুমের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। করটিসল ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, ব্লাড স্যুগার ও প্রেসার বৃদ্ধি করে ও ডায়াবেটিকসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সব মিলিয়ে এর কারণে আপনার বয়স বাড়ার আগেই চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যাবে।

স্ট্র (straw) দিয়ে চুমুক নেয়াঃ
এক্সপার্টদের মতে-"কোল্ড ড্রিঙ্কস বা অন্য কোন পানীয় পানের ক্ষেত্রে স্ট্র এর কোন বিকল্প নেই এটা ঠিকই তবে এর কারণে মুখের চারপাশে বলিরেখা পড়ার ঝুঁকি থাকে অনেক।" তাই মনে রাখবেন যত বেশি বলিরেখা তত বেশি আপনার বয়স ( যা চেহারায় ফুটে ওঠে)।

এরকম দৈনন্দিন জীবনে আরও অনেক বদঅভ্যাস আছে যার কারণে শরীরের নানা ক্ষতি হয় ও সময়ের আগেই মানুষ আপনাকে বয়স্ক ভাবতে শুরু করে। তাই দেরী না করে নিজেকে এসব অভ্যাস থেকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায় যে ৫ টি খাদ্য

স্মৃতিশক্তি বাড়ায় যে ৫ টি খাদ্য

==============
ইদানিং কোথায় কী রাখছেন মনে থাকছে না? খুঁজে পাচ্ছেন না চশমার খাপ, চাবির গোছা? এখানে সেখানে ফেলে আসছেন ভুল করে এটা-সেটা? মনে থাকছে না পরিচিত মানুষের নাম? খুব ভুলো মন?
ভুলে যাওয়াটা খুবই সাধারণ প্রক্রিয়া। সময়ের সাথে সাথে মানুষের স্মৃতি দুর্বল হয়ে যায়। তবে সময়ের এই প্রভাবকে একটু দীর্ঘায়িত করা যায়। হার্ট, ফুসফুস, পেশীর যত্নের সাথে সাথে সুস্থ থাকতে হলে খেয়াল রাখতে হবে আপনার মস্তিষ্কের দিকেও। এখানে এমন ৫ টি খাদ্যের কথা উল্লেখ করা হলো যা আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
১. তেলযুক্ত মাছ:
যে সব মাছে তেল বেশি আছে, সেইসব মাছ বেশি করে খান। মাছের তেলে আছে EPA (eicosapentaenoic acid) ও DHA (docosahexaenoic acid) । এগুলোর স্বল্পতা স্মৃতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
২. টমেটো:
টমেটোতে Lycopene নামে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ব্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোর জন্য উপকারি।
৩. কুমড়ার বীজ:
প্রতিদিন একমুঠো মিষ্টিকুমড়ার বীজ জিংকের চাহিদা মেটাতে পারে। যা স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি বাড়াতে অত্যাবশ্যক।
৪. ব্রোকলি:
ব্রোকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ‘ভিটামিন কে’। যা মেধা ও স্মৃতি বর্ধক।
৫. বাদাম:
American Journal of Epidemiology এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ‘ভিটামিন ই’ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আর বাদাম ‘ভিটামিন ই’ এর একটি বড় উৎস।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিকারক এইসব খাবার গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম করা যেতে পারে। আর অবশ্যই প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাও জরুরি।

বিয়ের প্রথম রাতের জন্য পুরুষ নেবেন যেসব বিশেষ প্রস্তুতি!

বিয়ের প্রথম রাতের জন্য 

পুরুষ নেবেন যেসব বিশেষ প্রস্তুতি!
বিয়ের রাতটি জীবনের বিশেষ একটি রাত। নতুন জীবনে পা রাখার পর দুটি মানুষের একসাথে বসবাসের প্রথম মূহূর্তটি হলো বিয়ের রাত। আর এই বিশেষ রাতটিকে ঘিরে অধিকাংশ মানুষ অনেক রকমের স্বপ্ন বোনে। কিন্তু অনেক সময় ছোট্ট কিছু অজ্ঞতার জন্য বিয়ের রাতটির মধুরতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই বিয়ের রাতের আগেই প্রয়োজন কিছু প্রস্তুতির। জেনে নিন পুরুষদের কিছু প্রস্তুতি সম্পর্কে যেগুলো বিয়ের রাতের জন্য অবশ্যই নেয়া উচিত।

মানসিক প্রস্তুতি

বিয়ের জন্য প্রতিটি পুরুষেরই মানসিক ভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। হুট করে নতুন জীবনে পা দেয়ার সময় অধিকাংশ পুরুষেরই আত্মবিশ্বাস থাকে না। কিন্তু নারীরা আত্মবিশ্বাসী পুরুষদেরকে বেশি ভালোবাসে। তাই নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে একটি নতুন জীবনে পা দেয়ার আগে নানান রকম ভয় ভীতি থাকে মনে। সেগুলোও ঝেড়ে ফেলা প্রয়োজন বিয়ের আগেই।

ব্যায়াম

নারীরা সুঠাম দেহের পুরুষদেরকে পছন্দ করে। আর তাই সাড়া জীবন ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকলেও বিয়ের আগে কিছুদিন ব্যায়াম ও ডায়েটের মাধ্যমে ভুড়ি এবং অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করা উচিত।

স্টাইল, ত্বকের যত্ন ও পরিচ্ছন্নতা

বিয়ের আগে প্রয়োজন গ্রুমিং এর। চুলটাকে সুন্দর কোনো স্টাইলে ছাটুন। সেই সঙ্গে ত্বকের যত্নের জন্য ভালো কোনো পার্লারে ফেসিয়াল করিয়ে নিন। সেই সঙ্গে শারীরিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। সুন্দর কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করতে ভুলবেন না বিয়ের রাতে।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা

যেহেতু বাংলাদেশের অনেক নারীই জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানেন না এবং সেই ব্যাপারে খুব একটা সহজও না। তাই বিয়ের রাতে আপনার স্ত্রী উপর নির্ভর করবেন না জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি গ্রহণ করবেন সেটা আপনাকেই ভাবতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে আপনাকেই।

সঙ্গীকে মানসিক ভাবে সহায়তা করার মনোভাব

বাংলাদেশের অধিকাংশ নারীই বিয়ের রাতেই শারীরিক মিলনের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে পারেন না। আর তাই তাঁরা স্বামীর কাছ থেকে মনে মনে এই ব্যাপারে একটু সহযোগীতা আশা করেন। বিয়ের রাতেই তাই স্ত্রীকে বিষয়টি নিয়ে জোর করা উচিত না। সেই সঙ্গে তাকে যথেষ্ট পরিমাণে মানসিক সহায়তা করা উচিত। দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা একটু সহজ হওয়ার আগেই শারীরিক মিলনের ব্যাপারে জোর করলে সম্পর্কটা সাড়া জীবনের জন্য তেঁতো হয়ে যেতে পারে।

স্ত্রী জন্য উপহার কিনে রাখা

বিয়ের রাতটি জীবনের বিশেষ একটি রাত। আর তাই এই রাতটিকে আরো বেশি রোমান্টিক ও স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্ত্রীর জন্য বিশেষ কোনো উপহার কিনে রাখতে পারেন। সেটা হতে পারে হীরের আঙটি অথবা ছোট কোনো ফটোফ্রেমে বন্দী করা নিজেদের প্রিয় কোনো মূহূর্তের ছবি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ছোট/বড় যা খুশি উপহার দিন। নতুন জীবনের শুরুতেই আপনার এই ছোট্ট ভালোবাসা আপনার স্ত্রীকে মুগ্ধ করবে।