শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

বেশি লবণ ডেকে আনে মরণ More eating salt May be dying

বেশি লবণ ডেকে আনে মরণ


খাবারে আসল স্বাদ পেতে দরকার লবণ। তবে বেশি লবণ ডেকে আনে মরণ। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বে বছরে ২৩ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী খাবারে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ। অতিরিক্ত শর্করা বা চিনিযুক্ত পানীয় কিংবা খাবার গ্রহণের কারণে বছরে যত লোকের মৃত্যু ঘটে,তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি লোকের মৃত্যু ঘটে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কারণে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক বৈঠকে উত্থাপিত একটি গবেষণা প্রবন্ধে এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকরা জানিয়েছেন, ২০১০ সালে সারাবিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া, স্ট্রোক ইত্যাদি কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার শতকরা১৫ ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী খাবারে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ। গবেষণায় দেখা যায়, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের জন্য হৃদজনিত রোগে মারাযায় ২৩ লাখ মানুষ। ২০১০ সালে বিশ্বের ৫০টি দেশে চালানো২৪৭টি জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। এর মধ্যে ইউক্রেনে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেদুই হাজার ১০৯ জন (প্রতি ১০ লাখে)। দ্বিতীয় রাশিয়ায় এক হাজার ৮০৩ জন এবং সবচেয়ে কম কাতারে ৭৩ জন।

সম্প্রতি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি গবেষণা জরিপে বলা হয়, অতিরিক্ত চিনি বা শর্করাযুক্ত খাবার ও পানীয় পানের কারণে বিশ্বে বছরে এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।

গবেষণা প্রবন্ধের লেখক হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের মেডিসিন ও মহামারী বিষয়ক অধ্যাপক ডেরিস মোজাফ-ফারিয়ান বলেন, লবণ কম গ্রহণের ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা গড়েতুলতে পারলে লাখ লাখ মানুষ অকালমৃত্যুর হাতথেকে বেঁচে যেত।


"দুঃচিন্তা লাঘবে আর ওষুধ নয়" Drug in not no more needed in tension

"দুঃচিন্তা লাঘবে আর ওষুধ নয়"


অনেকেই আছেন যারা সামান্য দুঃচিন্তা, মানসিকচাপ বা অবসাদ, বিষণ্নতা অনিদ্রা ইত্যাদি মনোগত সমস্যায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের প্রচলিত ঔষধ খেয়ে থাকেন। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এ ধরনের ঔষুধ সেবনের প্রবণতা বেশী লক্ষ্য করা যায়। রিলাক্সেন, ডিএংজিট, রেংজিট, মুডন, ক্লোবাজাম ইত্যাদি হরেক নামের মনোগত ওষুধ সেবনে অনেকেই রীতিমত অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। অথচ অন্যান্য ঔষধের মতো সাইকিয়াট্রিক ঔষধেরও রয়েছে বিবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। মানসিক সমস্যায় সাইকিয়াট্রিক বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন যেমন অনেক ক্ষেত্রে, জরুরী তেমনি পরামর্শ বিহীন ওষুধ সেবন এবং ওষুধ ব্যবহারে অসর্তকরা হীতে বিপরীত হতে পারে। সাইকেয়াট্রিক ড্রাগ গ্রহণে বিশেষজ্ঞদের কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ। 

এক. কেবলমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত নির্দেশিত মাত্রায় ওষুধ খেতে হবে। ভুলবশতঃ একদিন নিয়মিত ডোজ খেতে ভুলে গেলে পরবর্তীতে ডাবলডোজ কখনও খাওয়া যাবে না। 

দুই. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন বন্ধ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে নতুন সমস্যা এবং ওষুধসেবন রহিত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

তিন. ওষুধ সেবনকালীন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসককে অবহিত করুন।

চার. আপনার ডাক্তারের কাছে মানিসক সমস্যার সাথে শারীরিক সমস্যার কোন উপসর্গ থাকলে বলুন। পাঁচ· আপনার ব্যবহৃত ওষুধের নাম এবং পূর্ববর্তী প্রেসক্রিপশন ডাক্তারকে জানান। অ্যাসপিরিন, অ্যালকোহল ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ডাক্তারকে অবহিত করুন। গাড়ী ড্রাইভ করলে বা ঝুঁকিপূর্ণ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে ডাক্তারের বিধি নিষেধ মেনে চলুন। ছয়· বন্ধু-বান্ধবদের পরামর্শ নয়-বরং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন

বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘড়ি,চশমা,প্রভৃতি পরে থাকলে সেখানে একধরনের দাগ পড়তে পারে

দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘড়ি,চশমা,প্রভৃতি পরে থাকলে সেখানে একধরনের দাগ পড়তে পারে

দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘড়ি, চশমা, ব্রেসলেট, টুপি প্রভৃতি পরে থাকলে সেখানে একধরনের দাগ পড়তে পারে। সাধারণত সূর্যের রশ্মি সরাসরি পড়ে এমন স্থানে কাজ করলে শরীরের ঢাকা অংশ বাইরের অংশ থেকে কিছুটা সাদা দেখায়। ফলে এটি শরীরের অন্য অংশ থেকে আলাদা দেখায়। অনেক সময় এটি নিয়ে অন্যের সামনে বিব্রত হতে হয়। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সূর্যের রশ্মি সরাসরি পড়ে, এমন স্থানে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এ অবস্থায় সেই স্থানকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। প্রথমত, বাইরে থেকে ঘরে ফিরে কুসুম গর
ম পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট গামছা ভিজিয়ে রেখে আক্রান্ত স্থানে ১০ মিনিট ধরে রাখতে হবে। তারপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে সে স্থানটি ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর রাতে ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে সেখানে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগাতে হবে। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগাতে না চাইলে একটুখানি গ্লিসারিন এবং সমপরিমাণ পানি সে স্থানে লাগানো যেতে পরে। পরদিন সে জায়গাটি ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এক দিন পর পর এ নিয়ম মেনে 
চললে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

অনিদ্রা দূর করতে ৭ পরামর্শ 7 tips to prevent insomnia

অনিদ্রা দূর করতে ৭ পরামর্শ


সপ্তাহে তিন দিন বা তার বেশি ঘুম না আসা, বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, ঘুমোতে সমস্যা, অল্প সময় ঘুম হওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি ভাব, সারা দিন খিটখিটে ভাব ইত্যাদি ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রার লক্ষণ। মস্তিষ্কের নিউরোহরমোনাল অসামঞ্জস্য অনিদ্রার অন্যতম কারণ।
এমন সমস্যার কারণে কর্মক্ষমতা, বুদ্ধিমত্তা ও মনোযোগ কমতে পারে। শারীরিক ক্ষতিও হতে পারে। যেমন: ওজনাধিক্য, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হূদেরাগের ঝুঁকি বাড়ায়।

কারণ
১. মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, মানসিক আঘাত-পরবর্তী পরিস্থিতি।
২. ঘুমের পরিবেশের ব্যাঘাত যেমন: অতিরিক্ত শব্দ, আলো, গরম বা ঠান্ডা।
৩. ঘুমের নিয়মে পরিবর্তন, যা মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
৪. সন্ধ্যার পর ধূমপান, অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল সেবন।
৫. ঘুমের আগে টিভি দেখা, ভিডিও গেমস খেলা।
৬. দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অসুস্থতা, যেমন: বাত, ক্যানসার, হূদেরাগ, ফুসফুসের রোগ, গ্যাস্ট্রিক, থাইরয়েডের সমস্যা।

পরামর্শ
১. প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ুন।
২. শোয়ার ঘর কেবল ঘুমের জন্য ব্যবহার করুন। সেখানে যেন অতিরিক্ত শব্দ বা আলো না থাকে।
৩. ঘুমের আগে হালকা গরম পানির গোসল, বই পড়া, মৃদু গান, উপাসনা বা ইয়োগা সাহায্য করতে পারে। বারবার ঘড়ি দেখবেন না।
৪. জোর করে ঘুমের চেষ্টা করবেন না। ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না এলে উঠে পড়ুন। অন্য ঘরে যান, হালকা কিছু পড়ুন ঘুম না আসা পর্যন্ত।
৫. দুপুরে ৩০ মিনিটের বেশি বিশ্রাম নেবেন না, তা তিনটার আগেই সেরে নিন।
৬. ঘুমানোর চার-ছয় ঘণ্টা আগে ভারী কাজ, ব্যায়াম এবং অ্যালকোহল, কফি, ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
৭. ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। এরপর খিদে পেলে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন।

অরুচির ঘরোয়া সমাধান !

অরুচির ঘরোয়া সমাধান !


১ থেকে ৩ গ্রাম আদা খোসা ছাড়িয়ে মিহি করে কুচিয়ে নিন এবং তার সাথে লবন মিশিয়ে খাবার আধ ঘন্টা আগে প্রতিদিন দিনে ১ বার করে ৭-৮ দিন খাবেন। এর সাথে দু'এক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে খেল

১. ভালো হজম হয়
২. ক্ষুধা বৃদ্ধি হয়
৩. পেট থেকে গ্যাস নির্গত হয়
৪. পেট ব্যথা ভালো হয়
৫. পেট ফাঁপা ভাল হয়

অরুচির ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়:

১. জ্বর, সংক্রমণ, গ্যাস্ট্রিক আলসার বা ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় খাবারের রুচি কমে যায়।
২. প্রচণ্ড অরুচি, বমিভাব এমনকি পছন্দের খাবারেও অনীহা দেখা দিলে লক্ষ করুন প্রস্রাব ও চোখের রং হলুদ হচ্ছে কি না। এটি হেপাটাইটিস বা জন্ডিসের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।
৩. কিডনি জটিলতায় খাবারে রুচি কমে যায়। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিসে খাদ্যনালির সংকোচন-প্রসারণ কমে যায় বলে অল্প খেলেই পেট ভরা মনে হয়।
৪. মানসিক চাপ ও বিষণ্নতায় আক্রান্ত হলেও রুচি কমে যায়।
৫. বিভিন্ন ওষুধ বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক খাবারের রুচি কমিয়ে দিতে পারে।
৬. খেয়াল রাখুন অরুচির সঙ্গে ওজন কমে যাচ্ছে কি না, রক্তশূন্যতা আছে কি না, দুর্বলতা, খাবার গিলতে সমস্যা, পেটের ব্যথা, দীর্ঘদিনের হজমে গোলমাল, পেটে বা শরীরের কোথাও চাকা ইত্যাদি রয়েছে কি না। এসব লক্ষণ থাকলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখুন, পোষ্টটি লাইক কমেন্ট অথবা শেয়ার করুন ।

ডায়রিয়া হলে কি করবেন?What are you do in diarrhea?

ডায়রিয়া হলে কি করবেন?


ডায়ারিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে রোগীকে স্যালাইন খেতে দিতে হবে। অল্প অল্প করে বারে বারে খাওয়াতে হবে। প্রতিবার দাস্তের পর দেড়-দুই আউন্স পরিমাণ অর্থাৎ যে পরিমাণ পানি পায়খানার সঙ্গে বেরিয়ে যাবে সে পরিমাণ খাবার স্যালাইন রোগীকে খাইয়ে দিতে হবে।

এক সঙ্গে বেশী পরিমাণে স্যালাইন খাওয়ালে রোগী বমি করতে পারে। সে জন্য নিয়ম হলো- রোগীকে খাওয়াতে হবে অল্প অল্প করে, বারে বারে। স্যালাইন খাওয়ানোর পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার সবকিছুই খেতে দিতে হবে। খাবার বন্ধ করা যাবে না। তরল খাবার বেশী করে দিতে হবে।

স্যালাইনের প্যাকেট বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এই প্যাকেটের স্যালাইন ১ সের বা (যে পরিমাণ পানি প্যাকেটের গায়ে লিখা থাকে) সিদ্ধ করা ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরী করা হয়। একবার তৈরী করা খাবার স্যালাইন ১২ ঘন্টা পর্যন্ত রেখে খাওয়ানো যেতে পারে, এর পর আরও স্যালাইনের প্রয়োজন হলে উপরোক্ত নিয়মে আবার নতুন করে বানাতে হবে।

স্যালাইনের প্যাকেট বাজারে কিনতে পাওয়া না গেলে কিংবা কিনার সামথ্য না থাকলে দুশ্চিন্তার কিছই নেই; আজকাল ঘরে বসেই খাবার স্যালাইন বানানো যায়। তিন আঙ্গুলের প্রথম ভাঁজের এক চিমটি লবণ, চার আঙ্গুলের এক মুষ্ঠি গুড় (বা চিনি) আধা সের বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে এ স্যালাইন বানানো যায়। অতি সমপ্রতি চালের গুঁড়ো দিয়ে আরো উন্নতমানের খাবার স্যালাইন তৈরীর পদ্ধতি এ-দেশেই আবিষ্কৃত হয়েছে। এ স্যালাইন আধিকতর ফলপ্রসূ ও কার্যকর।

ডায়রিয়ার সফল চিকিত্সার সাথে সাথে তা শরীরে বাড়তি শক্তি যোগায়; আর চালের গুঁড়ার এই স্যালাইন বানানোও খুব সোজা। প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্রে আধা সেরেরও কিছু বেশী (আড়াই পোয়া) বিশুদ্ধ পানি (ডিউবওয়েলের পানি হলেও চলবে) নিতে হবে, এতে পাঁচ সমানচামচ (ওষুধের চামচে) চালের গুঁড়ো মিশাতে হবে। এরপর তা ৩ থেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে এবং সাথে সাথে একটি পরিষ্কার চামচ দিয়ে বার বার নাড়াতে হবে, যেন চাল-গুঁড়া দলা না পাকিয়ে যায়। ৩-৫ মিনিট পর পাত্রটি চুলো থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে এতে তিন আঙ্গুলের প্রথম ভাঁজের সমান এক চিমটি লবণ মিশিয়ে দিতে হবে। এবারে এই স্যালাইন খাওয়ার উপযোগী হলে গেল।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখযোগ্য যে, তৈরীর পর কোন স্যালাইন ১২ ঘন্টার বেশী রাখা উচিত নয়। ১২ ঘন্টা পর প্রয়োজনে আবার নতুন করে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে হবে।

সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৪

ব্যায়ামের বড়ি ! Exercise pill!

ব্যায়ামের বড়ি !


মাথাব্যথার ওষুধের মতোই যদি কোনো বড়ি পাওয়া যেত, যা চট করে গিলে নিলেই শরীরচর্চার ঘাম ঝরানোর অংশটুকু হয়ে যাবে! যা খুশি, যত খুশি খাওয়া যাবে, ক্যালরির দুশ্চিন্তা করতে হবে না। এসব সংকট সমাধানে জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করবে ওই বড়ি!

আনন্দের খবর হচ্ছে, মানুষের এসব কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতেই উঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাথমিকভাবে সাফল্য মিলেছে তাঁদের কাজে। অর্থাৎ আমরা শিগগিরই হয়তো এমন বড়ি পেতে যাচ্ছি, যা খেলে নড়াচড়া না করেও ব্যায়ামের সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে।

ফ্লোরিডার স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকদের এ গবেষণায় দেখা গেছে, পেশিতে আরইভি-ইআরবি নামে আমিষের কোষ রয়েছে, যা বিপাকক্রিয়া, কোলেস্টেরলের স্তর স্বাভাবিক রাখা এবং আমাদের ঘুমের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। আমিষের এ স্তরকে প্রভাবিত করার মতো উপাদান খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

তাঁরা গবেষণাটি চালিয়েছেন ইঁদুরের ওপর। স্থূল ইঁদুরকে ওই উপাদানসংবলিত ইনজেকশন দেওয়া হলে দেখা যায়, সেটি স্লিম হতে শুরু করেছে। এমনকি উচ্চ চর্বিসমৃদ্ধ খাবার খেয়েও এরা মুটিয়ে যায়নি। একই সঙ্গে ইঁদুরের কোলেস্টেরলের স্তর উন্নত হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গবেষণায় দেখা যায়, এ ইঁদুর অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি অক্সিজেন ব্যবহার করছে এবং তার কর্মক্ষমতাও বেড়ে গেছে।

পানির অপর নাম জীবন

পানির অপর নাম জীবন


পানি খাওয়া নিয়ে প্রতিদিন হাজারো পরামর্শ। কিন্তু আমরা কি জানি পানি কিভাবে আমাদের উপকারে আসে। আসুন জেনে নেই কিভাবে পানি আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

এটা হজমে সাহায্য করে: ওজন কমাতে চাইছেন? তাহলে তো পানি খাওয়া খুব জরুরী। কেননা এটা চর্বি ক্ষয় করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা যায় পানি আমাদের শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ ফ্যাট বেশি ঝড়াতে সাহায্য করে।

খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে: একসাথে বসে গাদা গাদা খেয়ে ফেলাটা আপনার অভ্যাস নয় বরং বদভ্যাস। এবার খাওয়ার আগে কিছু পানি খেয়ে নিন। বেশি খাবার একসাথে আর খেতে পারবেন না। আর গবেষণা দেখাচ্ছে যারা পাঁচ গ্লাসের বেশি পানি খায় নিয়মিত তাদের হার্ট ঝরাতে মাত্রা যারা খায় না তাদের চেয়ে ৪১ শতাংশ কম।

মাথাব্যথা কমে: অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যা অনেক বড় হয়ে দেখা দেয়। তখন এই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে পানি । তাই পানি খান বেশি বেশি।

পানি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়: মস্তিষ্ক সবসময় বেশি বেশি অক্সিজেন চায়। আর বেশি পানি খেলে সেটা নিশ্চিত হয়। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল খেলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়।


রাখে সচেতন: নিয়মিত পানি খেলে আপনার ক্লান্তি দূর করে আপনাকে রাখবে সতেজ। আপনি কাজে পাবেন উদ্দীপনা। তাই পানি খান বেশি বেশি।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় পানি !Increases in brain power!

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় পানি !


ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডনের বিজ্ঞানীদের সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র এক গ্লাস পানি পান করলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ১৪ শতাংশ বেড়ে যায়। এ গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ৯০ মিনিট টানা ঘামলে মস্তিষ্ক অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন ১-২ গ্লাস পানি পান করলেই মস্তিষ্ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। বিজ্ঞানীদের মতে, যখন কেউ তৃষ্ণার্ত থাকেন তখন তার মস্তিষ্ক সেটি নিয়েই ভাবতে থাকে। ফলে কাজের ব্যাপারে তিনি অমনোযোগী হয়ে পড়েন। এ প্রসঙ্গে গবেষক ক্যারোলিন অ্যাডমুন্ড বলেন, কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরুর আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। তাতে মস্তিষ্ক ভালো কাজ করবে। এছাড়া চা কিংবা কফি পানে সুফল পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।