নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে যে ১০টি শব্দ কখনো ব্যবহার করবেন না
কারো প্রশংসা করতে আমরা নানা বিশেষণ ব্যবহার করি। তবে এসব ব্যবহারে সচেতন ও সতর্ক থাকা জরুরি। কেউ আপনাকে 'ক্যারিশম্যাটিক' বললে বেজায় খুশী হয়ে যাবেন। কিন্তু আপনি যদি নিজেকেই 'ক্যারিশম্যাটিক' বলেন, তবে সবাই বুঝবেন আপনি জোকার। এমন আরো দশটি শব্দ জানুন যেগুলো নিজের সম্পর্কে ব্যবহারের আগে সতর্কতা প্রয়োজন।
১. উদার : মানুষের জীবনের লেনদেনে উদারতা সবার কাছেই প্রশংসনীয়। এই প্রশংসা অর্জন করতে হয়, দাবি করা যায় না বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্ট অ্যাডাম গ্রান্ট। আপনার কার্যকলাপে অন্যরা আপনাকে 'উদার' বিশেষণে বিশেষায়িত করবেন। কেউ নিজেকে উদারমনা বললে তা সমালোচনার জন্ম দেবে। সত্যিকার উদার মানুষরা নিজেদের উদার বলে মনে করেন না এবং উদারতার ক্ষেত্রে কোনো হিসেব থাকে না। তাই নিজেকে উদার বলে দাবি করাটা বোকামি।
২. বিনয়ী : আপনি নিজেকে বিনয়ী বলে মনে করলে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা হলে কী করবেন? সত্যিকার বিনয়ীরা নিজেদের বিনয়ী বলেন না। কারণ তারা এতোই বিনয়ী যে, নিজেদের বিনয়ী বলতে নারাজ।
৩. আত্মনিয়ন্ত্রণ : যাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তাদের এমনটি থাকলে সংগ্রাম চালিয়ে যান, তারা অন্যের চোখে প্রশংসনীয়। কারণ এটা কঠিন বিষয় যার পেছনে দিন-মাস-বছর সময় দিয়ে অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। এ কাজে ব্যস্ত মানুষরা আজীবন আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালাতেই থাকেন। অন্যরা সুনাম করতেই পারেন। কিন্তু আপনিই শেষ ব্যক্তি যিনি নিজেকে আত্মনিয়ন্ত্রণিত ব্যক্তি বলে দাবি করতে পারেন।
৪. আবেগপ্রবণ : আপনি যে আবেগপ্রবণ তা দাবি করতে পারেন না। এটা দেখানোর বিষয় এবং অন্যরা আপনাকে আবেগপ্রবণ বলে উপাধি দেবেন। ভালো বুদ্ধিটা হলো, আবেগ প্রিয়জনের জন্য জমিয়ে রাখুন।
৫. রসিক : অনেকেই আছেন যারা রসিক। তবে তারা সহজাতভাবেই রসিক এবং অন্যদের কাছে দারুণ প্রিয়। যারা নিজেদের রসিক বলে মনে করেন তাদের সহচার্য শিগগিরই অসহ্য হয়ে ওঠে। আর যারা রসিক এবং নিজেদের রসিক বলে দাবি করেন না, তাদেরকে আপনারও রসিক বলে সম্বোধন করা উচিত নয়।
৬. সহানুভূতি : এটি এমন এক মনস্তাত্ত্বিক বিষয় যার মাধ্যমে অন্যের আবেগ-অনুভূতি উপলব্ধি করা যায়। তবে আবেগপ্রসূত বিষয় অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি না করতে পারলে সহানুভূতিশীল বলা যায় না। সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা, উপকারিতা, ভালোবাসা দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে সহানুভূতি প্রকাশ পায়। আপনার সহানুভূতি পেয়েছে এমন কেউ আপনার এই গুণ প্রকাশ করতে পারেন, অন্য কেউ নন।
৭. ভয়হীন : সবার মধ্যেই ভয় কাজ করে। সাহসিকতার মাঝে যে ভয় নেই তা কিন্তু নয়। কাজেই আপনার যে ভয় নেই তা বলতে পারেন না। তাই আপনি সাহসী হতে পারেন, কিন্তু ভয়হীন বলতে পারেন না।
৮. অকপট : আপনি সোজাসাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করেন- এ কথাটি নেতিবাচক শোনায়। এতে অভদ্র, আগ্রাসী এবং বেয়াদবির মতো বদগুণ প্রকাশ পায়। তাই সোজা কথা বলার আগে 'যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক' ধরনের কথা বলে নেওয়াটা জরুরি। সেক্ষেত্রে অন্যরা একে ভালো গুণ হিসেবে প্রশংসা করে বলবেন, আপনি অকপটে উচিত কথা বলেন।
৯. মানিয়ে নেওয়া : চাকরি নেই, সুখ নেই, কাজের সুযোগ নেই, অর্থ নেই; কিন্তু তবুও আমরা বেঁচে আছি। কারণ আমরা সবকিছুই গ্রহণ করতে পারি। তাই সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারাকে আলাদাভাবে উল্লেখ করার কিছু নেই। কারণ সবাই মানিয়ে চলেন।
১০. স্বাধীন : আত্মনির্ভরশীলতা ভালো বিষয়। আপনি নিজেই নিজের দেখভাল করতে পারেন, অন্যের ওপর নির্ভরশীল নন। কিন্তু এ বিষয়টিকে 'স্বাধীন' বলে প্রকাশ করা যায় না। কারণ সমাজের মধ্যে আপনি স্বাধীন বলতে বোঝায়, পরিবারের কথা না শোনা ব্যক্তি বা বন্ধুমহলের বন্ধুত্বসুলভ নন বা খেলার দলে কোচের নির্দেশ না মানা ব্যক্তিটি আপনি। আপনি কাউকে কেয়ার করেন না এবং একান্তই নিজের ইচ্ছেমতো চলেন মানেই আপনি স্বাধীন। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
১. উদার : মানুষের জীবনের লেনদেনে উদারতা সবার কাছেই প্রশংসনীয়। এই প্রশংসা অর্জন করতে হয়, দাবি করা যায় না বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্ট অ্যাডাম গ্রান্ট। আপনার কার্যকলাপে অন্যরা আপনাকে 'উদার' বিশেষণে বিশেষায়িত করবেন। কেউ নিজেকে উদারমনা বললে তা সমালোচনার জন্ম দেবে। সত্যিকার উদার মানুষরা নিজেদের উদার বলে মনে করেন না এবং উদারতার ক্ষেত্রে কোনো হিসেব থাকে না। তাই নিজেকে উদার বলে দাবি করাটা বোকামি।
২. বিনয়ী : আপনি নিজেকে বিনয়ী বলে মনে করলে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা হলে কী করবেন? সত্যিকার বিনয়ীরা নিজেদের বিনয়ী বলেন না। কারণ তারা এতোই বিনয়ী যে, নিজেদের বিনয়ী বলতে নারাজ।
৩. আত্মনিয়ন্ত্রণ : যাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তাদের এমনটি থাকলে সংগ্রাম চালিয়ে যান, তারা অন্যের চোখে প্রশংসনীয়। কারণ এটা কঠিন বিষয় যার পেছনে দিন-মাস-বছর সময় দিয়ে অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। এ কাজে ব্যস্ত মানুষরা আজীবন আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালাতেই থাকেন। অন্যরা সুনাম করতেই পারেন। কিন্তু আপনিই শেষ ব্যক্তি যিনি নিজেকে আত্মনিয়ন্ত্রণিত ব্যক্তি বলে দাবি করতে পারেন।
৪. আবেগপ্রবণ : আপনি যে আবেগপ্রবণ তা দাবি করতে পারেন না। এটা দেখানোর বিষয় এবং অন্যরা আপনাকে আবেগপ্রবণ বলে উপাধি দেবেন। ভালো বুদ্ধিটা হলো, আবেগ প্রিয়জনের জন্য জমিয়ে রাখুন।
৫. রসিক : অনেকেই আছেন যারা রসিক। তবে তারা সহজাতভাবেই রসিক এবং অন্যদের কাছে দারুণ প্রিয়। যারা নিজেদের রসিক বলে মনে করেন তাদের সহচার্য শিগগিরই অসহ্য হয়ে ওঠে। আর যারা রসিক এবং নিজেদের রসিক বলে দাবি করেন না, তাদেরকে আপনারও রসিক বলে সম্বোধন করা উচিত নয়।
৬. সহানুভূতি : এটি এমন এক মনস্তাত্ত্বিক বিষয় যার মাধ্যমে অন্যের আবেগ-অনুভূতি উপলব্ধি করা যায়। তবে আবেগপ্রসূত বিষয় অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি না করতে পারলে সহানুভূতিশীল বলা যায় না। সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা, উপকারিতা, ভালোবাসা দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে সহানুভূতি প্রকাশ পায়। আপনার সহানুভূতি পেয়েছে এমন কেউ আপনার এই গুণ প্রকাশ করতে পারেন, অন্য কেউ নন।
৭. ভয়হীন : সবার মধ্যেই ভয় কাজ করে। সাহসিকতার মাঝে যে ভয় নেই তা কিন্তু নয়। কাজেই আপনার যে ভয় নেই তা বলতে পারেন না। তাই আপনি সাহসী হতে পারেন, কিন্তু ভয়হীন বলতে পারেন না।
৮. অকপট : আপনি সোজাসাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করেন- এ কথাটি নেতিবাচক শোনায়। এতে অভদ্র, আগ্রাসী এবং বেয়াদবির মতো বদগুণ প্রকাশ পায়। তাই সোজা কথা বলার আগে 'যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক' ধরনের কথা বলে নেওয়াটা জরুরি। সেক্ষেত্রে অন্যরা একে ভালো গুণ হিসেবে প্রশংসা করে বলবেন, আপনি অকপটে উচিত কথা বলেন।
৯. মানিয়ে নেওয়া : চাকরি নেই, সুখ নেই, কাজের সুযোগ নেই, অর্থ নেই; কিন্তু তবুও আমরা বেঁচে আছি। কারণ আমরা সবকিছুই গ্রহণ করতে পারি। তাই সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারাকে আলাদাভাবে উল্লেখ করার কিছু নেই। কারণ সবাই মানিয়ে চলেন।
১০. স্বাধীন : আত্মনির্ভরশীলতা ভালো বিষয়। আপনি নিজেই নিজের দেখভাল করতে পারেন, অন্যের ওপর নির্ভরশীল নন। কিন্তু এ বিষয়টিকে 'স্বাধীন' বলে প্রকাশ করা যায় না। কারণ সমাজের মধ্যে আপনি স্বাধীন বলতে বোঝায়, পরিবারের কথা না শোনা ব্যক্তি বা বন্ধুমহলের বন্ধুত্বসুলভ নন বা খেলার দলে কোচের নির্দেশ না মানা ব্যক্তিটি আপনি। আপনি কাউকে কেয়ার করেন না এবং একান্তই নিজের ইচ্ছেমতো চলেন মানেই আপনি স্বাধীন। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন