ইন্টারনেট, কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের মতো প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের সাত মারাত্মক ক্ষতি
স্মার্টফোন ও নানা কম্পিউটার ডিভাইসের কল্যাণে আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এখন আগের তুলনায় অনেকটাই পাল্টে গেছে। একে অনেকে ইতিবাচকভাবে দেখলেও বাস্তবে এর প্রচুর অপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত জীবনে মানুষের নানা সমস্যা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট। এ ধরনের সাতটি ক্ষতি তুলে ধরা হয়েছে এ লেখায়।
১. ঘুমের ব্যাঘাত
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও ল্যাপটপের মতো গ্যাজেটের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো শরীরের মেলাটোনিন নির্গমন থামিয়ে দিতে পারে। মেলাটোনিন শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যতম প্রধান হরমোন হিসেবে কাজ করে। এটি আপনার শরীরকে জানিয়ে দেয়, কখন ঘুমানো উচিত আর কখন প্রয়োজন ঘুম থেকে ওঠার। কিন্তু নীল আলোর প্রভাবে এ কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় এবং সঠিক সময়ে ঘুম ও ঘুম থেকে ওঠা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
ঠিকভাবে ঘুম না হলে মস্তিষ্কের নানা ধরনের ক্ষতি হয়। প্রতি রাতে সাত ঘণ্টা বা তার বেশি ঘুম না হলে মানুষের মুড খারাপ হওয়া, কাজে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হওয়া ও স্মৃতিশক্তিজনিত সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া মস্তিষ্কে নতুন কোষ তৈরির হারও কমে যায় এতে।
ইন্টারনেট, কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের মতো প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের সাত মারাত্মক ক্ষতি
২. মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করে দেওয়া
বিজ্ঞানের নানা অগ্রগতির এটি একটি অন্যতম অপকারিতা। নানা প্রযুক্তিপণ্য মানুষের মনোযোগ ভিন্ন দিকে সরিয়ে দেয়। অনেকেরই গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় মোবাইল ফোন আসে কিংবা মিটিংয়ের সময় পাওয়া মেসেজের কারণে মনোযোগ ভিন্ন দিকে চলে যায়। এ ছাড়া কোনো একটি ওয়েবসাইট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজতে গিয়ে অন্য বহু ওয়েবসাইট মনোযোগের অধিকাংশই কেড়ে নেয়, যা ব্যবহারকারীর মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা নষ্ট করে। মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করে দেওয়ার এ সমস্যায় তরুণরা বেশি ভোগে।
৩. স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া
প্রযুক্তির কারণে মানুষের নতুন বিষয় মনে রাখার প্রয়োজনীয়তা কমে যাচ্ছে। আর এতে কমে যেতে পারে স্মৃতি ধারণ করার ক্ষমতাও। মানুষের মূলত দুই ধরনের স্মৃতিশক্তি থাকে- স্বল্পস্থায়ী কাজের স্মৃতি ও দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি। স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি থেকে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে কিছু তথ্য নিয়মিত চলে যায়। এ প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা এলে স্বভাবতই স্মৃতিশক্তিতে সমস্যা তৈরি হয়। আর এ বাধার অন্যতম প্রধান কারণ বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার। যেমন, একটি নিবন্ধ পড়ার মাঝে আপনি মোবাইল ফোনের একটি বার্তা পড়া শুরু করলেন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি আপডেট চেক করলেন। এতে আপনার সেই নিবন্ধটির পড়া অংশ মস্তিষ্কের দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। আর স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি থেকে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে যাওয়ার আগেই হারিয়ে যায় নানা তথ্য।
আরেকটি বিষয় হলো, মানুষের মস্তিষ্কের তথ্য গ্রহণের একটি মাত্রা আছে। অনলাইনে বিচরণের সময় সেখানে পাওয়া অতিরিক্ত তথ্য গ্রহণের চেষ্টা করতে থাকলে এর কিছুই মস্তিষ্কে প্রবেশ করে না।
ইন্টারনেট, কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের মতো প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের সাত মারাত্মক ক্ষতি
৪. ইন্টারনেট নির্ভরতা
ইন্টারনেটের কল্যাণে যেকোনো সময়েই মানুষ প্রয়োজনীয় নানা তথ্য পেতে পারে। মুহূর্তেই এ তথ্যগুলো পাওয়ার ফলে কোনো কিছু মনে রাখার প্রয়োজনীয়তা কমে যাচ্ছে। আপনি যখন জানেন যে গুগলে সার্চ করলেই এ তথ্য পাবেন তখন এটি জানার বা স্মৃতিতে ধারণ করার প্রয়োজনীয়তা কম মনে হবে আপনার। আর প্রয়োজনীয়তা কমে গেলে স্বভাবতই কমে যাবে মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা।
৫. ভুলে যাওয়া
সম্প্রতি মানুষের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক এক জরিপেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। প্রযুক্তির নানা পণ্য ব্যবহার করার ফলেই এমনটা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারের ফলে নানা শারীরিক প্রতিক্রিয়াতেই সামগ্রিকভাবে এমনটা হচ্ছে।
ইন্টারনেট, কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের মতো প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের সাত মারাত্মক ক্ষতি
৬. বই পড়তে সমস্যা
প্রযুক্তির নানা পণ্য ব্যবহারের ফলে মানুষের মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। আর এর ফলে বই পড়তে অনেকেরই সমস্যা হয়। বিশেষ করে বই পড়লেও তা থেকে তথ্য মস্তিষ্কে প্রবেশ করে না। ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অনলাইন থেকে নানা তথ্য গ্রহণ করার অভ্যাস গড়ে উঠলে পরে এমনটা হয়।
৭. নেশার মতোই কাজ
অনলাইনে রয়েছে নানা গেমস। এসব গেমস তরুণদের খুবই প্রিয়। অনেকেই নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে এসব নিয়ে পড়ে থাকে, যা অনেকটা নেশার মতোই কাজ করে মস্তিষ্কে। ২০১২ সালের এক গবেষণায় অনুরূপ প্রমাণ পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা একটি নেশার মতোই। আর এ প্রবণতা মাদক ও অ্যালকোহলের নেশার মতোই কাজ করে।
ইন্টারনেটের নেশায় আচ্ছন্ন যেসব ব্যক্তি খাবার, পড়াশোনা ও ঘুম বাদ দেন তাঁদের মস্তিষ্কের সাদা ও ধূসর অংশে অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়। এতে তাঁদের আবেগ, নিয়ন্ত্রণকারী সতর্কতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রভাবিত হয়।
১. ঘুমের ব্যাঘাত
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও ল্যাপটপের মতো গ্যাজেটের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো শরীরের মেলাটোনিন নির্গমন থামিয়ে দিতে পারে। মেলাটোনিন শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যতম প্রধান হরমোন হিসেবে কাজ করে। এটি আপনার শরীরকে জানিয়ে দেয়, কখন ঘুমানো উচিত আর কখন প্রয়োজন ঘুম থেকে ওঠার। কিন্তু নীল আলোর প্রভাবে এ কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় এবং সঠিক সময়ে ঘুম ও ঘুম থেকে ওঠা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
ঠিকভাবে ঘুম না হলে মস্তিষ্কের নানা ধরনের ক্ষতি হয়। প্রতি রাতে সাত ঘণ্টা বা তার বেশি ঘুম না হলে মানুষের মুড খারাপ হওয়া, কাজে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হওয়া ও স্মৃতিশক্তিজনিত সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া মস্তিষ্কে নতুন কোষ তৈরির হারও কমে যায় এতে।
ইন্টারনেট, কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের মতো প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের সাত মারাত্মক ক্ষতি
২. মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করে দেওয়া
বিজ্ঞানের নানা অগ্রগতির এটি একটি অন্যতম অপকারিতা। নানা প্রযুক্তিপণ্য মানুষের মনোযোগ ভিন্ন দিকে সরিয়ে দেয়। অনেকেরই গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় মোবাইল ফোন আসে কিংবা মিটিংয়ের সময় পাওয়া মেসেজের কারণে মনোযোগ ভিন্ন দিকে চলে যায়। এ ছাড়া কোনো একটি ওয়েবসাইট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজতে গিয়ে অন্য বহু ওয়েবসাইট মনোযোগের অধিকাংশই কেড়ে নেয়, যা ব্যবহারকারীর মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা নষ্ট করে। মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করে দেওয়ার এ সমস্যায় তরুণরা বেশি ভোগে।
৩. স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া
প্রযুক্তির কারণে মানুষের নতুন বিষয় মনে রাখার প্রয়োজনীয়তা কমে যাচ্ছে। আর এতে কমে যেতে পারে স্মৃতি ধারণ করার ক্ষমতাও। মানুষের মূলত দুই ধরনের স্মৃতিশক্তি থাকে- স্বল্পস্থায়ী কাজের স্মৃতি ও দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি। স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি থেকে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে কিছু তথ্য নিয়মিত চলে যায়। এ প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা এলে স্বভাবতই স্মৃতিশক্তিতে সমস্যা তৈরি হয়। আর এ বাধার অন্যতম প্রধান কারণ বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার। যেমন, একটি নিবন্ধ পড়ার মাঝে আপনি মোবাইল ফোনের একটি বার্তা পড়া শুরু করলেন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি আপডেট চেক করলেন। এতে আপনার সেই নিবন্ধটির পড়া অংশ মস্তিষ্কের দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। আর স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি থেকে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে যাওয়ার আগেই হারিয়ে যায় নানা তথ্য।
আরেকটি বিষয় হলো, মানুষের মস্তিষ্কের তথ্য গ্রহণের একটি মাত্রা আছে। অনলাইনে বিচরণের সময় সেখানে পাওয়া অতিরিক্ত তথ্য গ্রহণের চেষ্টা করতে থাকলে এর কিছুই মস্তিষ্কে প্রবেশ করে না।
ইন্টারনেট, কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের মতো প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের সাত মারাত্মক ক্ষতি
৪. ইন্টারনেট নির্ভরতা
ইন্টারনেটের কল্যাণে যেকোনো সময়েই মানুষ প্রয়োজনীয় নানা তথ্য পেতে পারে। মুহূর্তেই এ তথ্যগুলো পাওয়ার ফলে কোনো কিছু মনে রাখার প্রয়োজনীয়তা কমে যাচ্ছে। আপনি যখন জানেন যে গুগলে সার্চ করলেই এ তথ্য পাবেন তখন এটি জানার বা স্মৃতিতে ধারণ করার প্রয়োজনীয়তা কম মনে হবে আপনার। আর প্রয়োজনীয়তা কমে গেলে স্বভাবতই কমে যাবে মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা।
৫. ভুলে যাওয়া
সম্প্রতি মানুষের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক এক জরিপেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। প্রযুক্তির নানা পণ্য ব্যবহার করার ফলেই এমনটা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারের ফলে নানা শারীরিক প্রতিক্রিয়াতেই সামগ্রিকভাবে এমনটা হচ্ছে।
ইন্টারনেট, কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের মতো প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের সাত মারাত্মক ক্ষতি
৬. বই পড়তে সমস্যা
প্রযুক্তির নানা পণ্য ব্যবহারের ফলে মানুষের মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। আর এর ফলে বই পড়তে অনেকেরই সমস্যা হয়। বিশেষ করে বই পড়লেও তা থেকে তথ্য মস্তিষ্কে প্রবেশ করে না। ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অনলাইন থেকে নানা তথ্য গ্রহণ করার অভ্যাস গড়ে উঠলে পরে এমনটা হয়।
৭. নেশার মতোই কাজ
অনলাইনে রয়েছে নানা গেমস। এসব গেমস তরুণদের খুবই প্রিয়। অনেকেই নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে এসব নিয়ে পড়ে থাকে, যা অনেকটা নেশার মতোই কাজ করে মস্তিষ্কে। ২০১২ সালের এক গবেষণায় অনুরূপ প্রমাণ পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা একটি নেশার মতোই। আর এ প্রবণতা মাদক ও অ্যালকোহলের নেশার মতোই কাজ করে।
ইন্টারনেটের নেশায় আচ্ছন্ন যেসব ব্যক্তি খাবার, পড়াশোনা ও ঘুম বাদ দেন তাঁদের মস্তিষ্কের সাদা ও ধূসর অংশে অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়। এতে তাঁদের আবেগ, নিয়ন্ত্রণকারী সতর্কতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রভাবিত হয়।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন