শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

জানুন স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৫টি বৈজ্ঞানিক উপায়

জানুন স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৫টি বৈজ্ঞানিক উপায়


বয়স বাড়তে থাকলে ভুলে যাওয়াটা ধীরে ধীরে রোগে পরিণত হয়! 
এটাই যেন স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে চেনা মানুষের নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার ভুলতে থাকবেন। হঠাৎ কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতে গিয়ে থতমত খাবেন। তবে এই সমস্যারও সমাধান আছে। একটি গবেষনা বলছে, ব্রেনের এমন কিছু ব্যায়াম আছে যা রোজ করলে তুলনায় কম ভুলবেন আপনি। এবং স্মৃতিশক্তি আগের মতো ক্ষুরধার না হলেও অনেকটাই তাজা থাকবে। আসুন জেনে নেই উপায়গুলো-

নিজের সঙ্গে কথা বলা
লোকে আপনাকে পাগল বলতে পারে, তবুও সময় পেলেই একান্তে নিজের সঙ্গে নিজে একটু কথা বলে নিবেন। ব্যাপারটা সত্যিই স্বাস্থ্যকর। যারা এমন বকবক করেন তারা নাকি ডিমেনশিয়ায় তুলনায় কম আক্রান্ত হন। শুধু তাই নয়, নিজেকে নিজে গল্প শোনালে নাকি স্মৃতিভ্রংশের মতো ঘটনাকেও প্রতিরোধ করা যায় এবং তাতে রোজের ঘটনা হুবহু আপনার মনে থেকে যাবে।

নতুন ভাষা শেখা
নতুন কোনো ভাষা শেখা মানে আপনার মুকুটে আরও একটা পালক-ই শুধু বাড়ল না, আত্মবিশ্বাসও বাড়ল। এবং সবচেয়ে কাজের কথা আপনার স্মৃতিশক্তি কমার বদলে বাড়তে আরম্ভ করল।কেমন করে? নতুন শব্দ মনে রাখতে গেলে মাথাটাকেই তো বেশি করে খাটাতে হবে! প্রতিদিনকার এই মনে রাখা-টাই একসময় আপনার ভুলে যাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবে।

শব্দ-জব্দ ছক আর ধাঁধাঁর সমাধান
এতদিন এসবগুলোকেই ছেলেমানুষি ভেবে এড়িয়ে গিয়েছেন। এবার কাগজ খুলে সবার আগে সুডুকু বা শব্দ-জব্দ খুলে বসুন। যত বেশি সমাধান করতে পারবেন লাভ আপনার। ব্রেন-কে খাটালে তবেই তো সেটা কর্মক্ষম থাকবে!

গান শুধু গান
সময় পেলেই গান শুনুন। সমীক্ষা বলছে, রাগ সঙ্গীত নাকি মস্তিষ্কের কোষকে উদ্দীপিত করে। তবে শুধু শুনলেই হবে না। শোনার পর গানের সুর বা কথা মনে মনে গুনগুন করতে হবে যাতে গানটা মনে থাকে। এভাবে গান মনে রাখতে গিয়ে নিজের অজান্তে মনে রাখার ক্ষমতাকেই আপনি বাড়িয়ে তুলবেন।

একসঙ্গে একাধিক কাজ
হতেই পারে সেটা অনেক ধরনের বই, জার্নাল, খবরের কাগজ পড়া। আবার বই পড়তে পড়তে একঘেয়ে লাগলে পড়াশোনা সংক্রান্ত অন্য কিছু করুন। কখনোই মস্তিষ্ককে অলস থাকতে দেবেন না। যত মাথা খাটাবেন ভুলে যাওয়া-র মতো সমস্যা ততটাই শত হাত দূরে থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন