স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু জনপ্রিয় সাতটি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য
বিশ্বজুড়ে ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন কেমিস্টরা। তারাই মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার প্রস্তুতের নানা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। আবার তারাই জানেন, কোন খাবারগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এমন বহু খাবার গোটা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে। এখানে বিশেষজ্ঞরা সাতটি প্রক্রিয়াজাত খাবারের কথা বলছেন যা মানুষের দেহে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
১. সফট ড্রিংকস
বাণিজ্যিকভাবে প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরির শুরুর দিকের একটি অস্বাস্থ্যকর পানীয় হলো কার্বোনেটেড বেভারেজ। ১৭৭২ সালে জোসেফ প্রিস্টলি একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন যা কার্বোনেটেড বেভারেজ তৈরি করতে পারে। এই সফট ড্রিংকস ফার্মাসিস্টদের দ্বারাই হেলথ ড্রিংকস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাস্তবতা হলো, এটি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য নয়। কারণ এই পানীয়ের সোডার কারণে অস্টিওপরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. এমএসজি
মনসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) ১৯০৯ সাল থেকে খাবারের স্বাদ-গন্ধ বৃদ্ধিকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। খাবারের গন্ধ বাড়ালেও এর স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এমএসজি এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা মস্তিষ্কের কোষ উত্তেজিত করে তোলে। বিভিন্ন খাবারে ফ্লেভার ব্যবহার করা হয় এবং তা বিভিন্ন নামে পরিচিত।
৩. মার্গারিন
মাখনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের জন্য ফ্রান্সে নেপোলিয়ন তৃতীয় এর সময় প্রস্তুত করা হয় মার্গারিন। নেপোলিয়ন ভেবেছিলেন, ফ্রান্সের নেভি সদস্য এবং দরিদ্র মানুষদের মাখনের চাহিদা মেটাতে কম দামে মাখনের বিকল্প তৈরি করা প্রয়োজন। এমন খাবার যে বানানোর জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করেন তিনি। ১৮৬৯ সালে কেমিস্ট হিপোলি মিগে মরিস মাখনের বিকল্প মার্গারিন প্রস্তুত করেন যা বহু মানুষের হৃদরোগের জন্য দায়ী। কারণ এটি ক্ষতিকর হাইড্রোজেনেটেড তেল দিয়ে তৈরি করা হয়।
৪. ব্লিচড আটা
১৯০০ এর প্রথম দিকে সাদা রঙের আটা প্রস্তুতের জন্য ব্লিচিং এবং অক্সিডাইজিং উপাদানের ব্যবহার শুরু হয়। ব্লিচিং এতটাই মারাত্মক ক্ষতিকর ছিলো যে, পিওর ফুড অ্যান্ড ড্রাক অ্যাক্ট এর জনক ড. হার্ভে ডব্লিউ উইলে মামলা ঠুকে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট অবধি যান। সর্বোচ্চ আদালত ব্লিচিং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও দুর্ভাগ্যবশত আইনের প্রয়োগ ছিলো না। তাই আজও আমরা ব্লিচড আটা-ময়দা খাই।
৫. স্যাকারিন
১৮৭৮ সালে দুর্ঘটনাবশত স্যাকারিন আবিষ্কার করে ফেলেন রসায়নের এক প্রফেসর। পরীক্ষাগারে কয়লার এক ধরনের গাদ পেয়ে যান যার স্বাদ চিনির মতো মিষ্টি। ব্লিচিড আটার মতো স্যাকারিন ব্যবহারের বিরোধীতা করেছিলেন ড. উইলে। কিন্তু এটা এতোটাই জনপ্রিয়তা পায় যে তিনি কাউকে বোঝাতে পারেননি যে, স্যাকারিন কতোটা অস্বাস্থ্যকর। এমনকি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট পর্যন্ত ক্যালরিমুক্ত এই চিনি পেয়ে বেজায় খুশী হয়ে যান। অথচ স্যাকারিন কারসিনোজেনিক সাবস্টেন্স যা কিন্তু মোটেও মিষ্টি নয়।
৬. খাবারের রঙ
১৮৫৬ সালে সিনথেটিক রঙ আবিষ্কার হয়। পরবর্তীতে এই রঙে রসায়ন ফলিয়ে খাবারে ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৫০ সালে আমেরিকায় হ্যালোয়েন উৎসবে কমলা রঙ করা ক্যান্ডি খেয়ে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাবারের রঙও কারসিনোজেনিক পদার্থ যা হাইপারসেনসিটিভ সমস্যার সৃষ্টি করে।
৭. সয় প্রোটিন আইসোলেট
১৯৩৬ সালে সয় প্রোটিন আইসোলেট আবিষ্কৃত হয়। রঙিন কাগজ, আঠা এবং রঙ তৈরিতে এই প্রোটিন ব্যবহার করা হয়। পরে কৃষকরা এটা গরু-ছাগলকে খাওয়ানো শুরু করে এবং এক সময় সয় প্রোটিন আইসোলেট মানুষের খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। এটি তৈরিতে এসিডে ধোয়া, ক্ষারে ডোবানে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় রাখার মতো প্রক্রিয়া চলে যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। তা ছাড়া এটি হজম হওয়া প্রায় অসম্ভব
১. সফট ড্রিংকস
বাণিজ্যিকভাবে প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরির শুরুর দিকের একটি অস্বাস্থ্যকর পানীয় হলো কার্বোনেটেড বেভারেজ। ১৭৭২ সালে জোসেফ প্রিস্টলি একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন যা কার্বোনেটেড বেভারেজ তৈরি করতে পারে। এই সফট ড্রিংকস ফার্মাসিস্টদের দ্বারাই হেলথ ড্রিংকস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাস্তবতা হলো, এটি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য নয়। কারণ এই পানীয়ের সোডার কারণে অস্টিওপরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. এমএসজি
মনসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) ১৯০৯ সাল থেকে খাবারের স্বাদ-গন্ধ বৃদ্ধিকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। খাবারের গন্ধ বাড়ালেও এর স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এমএসজি এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা মস্তিষ্কের কোষ উত্তেজিত করে তোলে। বিভিন্ন খাবারে ফ্লেভার ব্যবহার করা হয় এবং তা বিভিন্ন নামে পরিচিত।
৩. মার্গারিন
মাখনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের জন্য ফ্রান্সে নেপোলিয়ন তৃতীয় এর সময় প্রস্তুত করা হয় মার্গারিন। নেপোলিয়ন ভেবেছিলেন, ফ্রান্সের নেভি সদস্য এবং দরিদ্র মানুষদের মাখনের চাহিদা মেটাতে কম দামে মাখনের বিকল্প তৈরি করা প্রয়োজন। এমন খাবার যে বানানোর জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করেন তিনি। ১৮৬৯ সালে কেমিস্ট হিপোলি মিগে মরিস মাখনের বিকল্প মার্গারিন প্রস্তুত করেন যা বহু মানুষের হৃদরোগের জন্য দায়ী। কারণ এটি ক্ষতিকর হাইড্রোজেনেটেড তেল দিয়ে তৈরি করা হয়।
৪. ব্লিচড আটা
১৯০০ এর প্রথম দিকে সাদা রঙের আটা প্রস্তুতের জন্য ব্লিচিং এবং অক্সিডাইজিং উপাদানের ব্যবহার শুরু হয়। ব্লিচিং এতটাই মারাত্মক ক্ষতিকর ছিলো যে, পিওর ফুড অ্যান্ড ড্রাক অ্যাক্ট এর জনক ড. হার্ভে ডব্লিউ উইলে মামলা ঠুকে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট অবধি যান। সর্বোচ্চ আদালত ব্লিচিং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও দুর্ভাগ্যবশত আইনের প্রয়োগ ছিলো না। তাই আজও আমরা ব্লিচড আটা-ময়দা খাই।
৫. স্যাকারিন
১৮৭৮ সালে দুর্ঘটনাবশত স্যাকারিন আবিষ্কার করে ফেলেন রসায়নের এক প্রফেসর। পরীক্ষাগারে কয়লার এক ধরনের গাদ পেয়ে যান যার স্বাদ চিনির মতো মিষ্টি। ব্লিচিড আটার মতো স্যাকারিন ব্যবহারের বিরোধীতা করেছিলেন ড. উইলে। কিন্তু এটা এতোটাই জনপ্রিয়তা পায় যে তিনি কাউকে বোঝাতে পারেননি যে, স্যাকারিন কতোটা অস্বাস্থ্যকর। এমনকি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট পর্যন্ত ক্যালরিমুক্ত এই চিনি পেয়ে বেজায় খুশী হয়ে যান। অথচ স্যাকারিন কারসিনোজেনিক সাবস্টেন্স যা কিন্তু মোটেও মিষ্টি নয়।
৬. খাবারের রঙ
১৮৫৬ সালে সিনথেটিক রঙ আবিষ্কার হয়। পরবর্তীতে এই রঙে রসায়ন ফলিয়ে খাবারে ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৫০ সালে আমেরিকায় হ্যালোয়েন উৎসবে কমলা রঙ করা ক্যান্ডি খেয়ে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাবারের রঙও কারসিনোজেনিক পদার্থ যা হাইপারসেনসিটিভ সমস্যার সৃষ্টি করে।
৭. সয় প্রোটিন আইসোলেট
১৯৩৬ সালে সয় প্রোটিন আইসোলেট আবিষ্কৃত হয়। রঙিন কাগজ, আঠা এবং রঙ তৈরিতে এই প্রোটিন ব্যবহার করা হয়। পরে কৃষকরা এটা গরু-ছাগলকে খাওয়ানো শুরু করে এবং এক সময় সয় প্রোটিন আইসোলেট মানুষের খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। এটি তৈরিতে এসিডে ধোয়া, ক্ষারে ডোবানে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় রাখার মতো প্রক্রিয়া চলে যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। তা ছাড়া এটি হজম হওয়া প্রায় অসম্ভব

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন