শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

সুখী মানুষ হবার ১০ টি কার্যকারী ফর্মুলা

সুখী মানুষ হবার ১০ টি কার্যকারী ফর্মুলা 

আপাত দৃষ্টিতে মনে না হলেও সুখে থাকা পুরোপুরি মানসিক একটি ব্যাপার। কারণ একজন মানুষ মানসিকভাবে সুখী হলে তিনি ছেঁড়া কাঁথাতে শুয়েও তৃপ্তির ঘুম ঘুমাতে পারেন। অপরপক্ষে মানসিক শান্তি না থাকলে সোনার খাটে শুয়েও ঘুম আসতে চায় না। এছাড়াও আরও ছোটোখাটো নানা বিষয় রয়েছে যা আমাদের দৃষ্টিতে ধরা হয়তো পড়ে না কিন্তু আমাদের সুখটাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
যারা সুখী মানুষ তারা আমাদের আশেপাশের সমাজ সংসারেই থাকেন, আমাদের চোখের সামনেই তাদের বসবাস। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন কি, তাদের মধ্যে কী এমন জিনিস রয়েছে যা আপনার মধ্যে নেই এবং যার ফলে তিনি সুখী মানুষ কিন্তু আপনি নন? এমন কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলো সুখি মানুষেরা একেবারেই পাত্তা দেন না। কিন্তু আপনি তা নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করে মানসিক অশান্তি ডেকে আনেন। ফলে হয়ে পড়েন অসুখী। এই সকল ব্যাপারগুলোই আসলে নিয়ন্ত্রণ করে সুখটাকে।

তারা সব কিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্বাসী নন
আপনি চাইলেই সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন না। এটি কখনোই সম্ভব নয়। একজন সুখী মানুষের সাথে আপনার পার্থক্য এইখানেই। তারা বিশ্বাস করেন তারা সব কিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন না। এবং সাধারণ মানুষ একটু নিয়ন্ত্রণের বাইরে জীবন চলে গেলেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। ফলে মনের শান্তি একেবারেই গায়েব হয়ে যায়।


তারা পুরো পৃথিবীর সবাইকে অবিশ্বাস করেন না
সবাইকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করা উচিৎ নয় তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু কাউকেই বিশ্বাস না করতে পারা মনের মধ্যে যে অস্বস্তি এবং অশান্তির সৃষ্টি করে তা মনের সুখ একেবারেই দূর করে দেয়। তাই সুখী মানুষেরা সবাইকেই অবিশ্বাস করেন না। বিশ্বাস করেন বিশ্বস্ত মানুষকেই।
তারা ছোটোখাটো ব্যাপারে দুশ্চিন্তা করতে বিশ্বাসী নন
জীবনে এমন কেন হচ্ছে, আমার সাথেই কেন হবে, এই কাজটি কেন এমন হলো, কেন সব কিছু ঠিক হয় না- এই ধরণের অযথা দুশ্চিন্তা এবং অনেক ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে মাথার চুল ছেঁড়া একেবারেই অপছন্দের কাজ সুখী মানুষের। জীবনে কিছু সময় হাসি এবং কিছু সময় কান্না থাকবেই। তা নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা করলে সুখ থাকবে না জীবনে।
তারা অতীতের ভুলে পড়ে থাকাতে বিশ্বাস করেন না
ভুল মানুষের পক্ষেই করা সম্ভব। কিন্তু সেই ভুলটাকে আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকায় বিশ্বাস করেন না সুখী মানুষ। তারা সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয়বার যাতে একই ভুল না হয় সে কাজে বিশ্বাসী।
তারা সমস্যায় নয় সমাধানে বিশ্বাসী
সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকলে তা কখনোই সমাধান করা সম্ভব নয়। বরং সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়ে মানসিক অশান্তির সৃষ্টি হয়। তাই সুখী মানুষেরা সমস্যা নিয়ে চিন্তা করার চাইতে সমস্যা সমাধানে কাজ করতে আগ্রহী।
‘মিথ্যা বলে পার পাওয়া যায়’ এই কথাতে বিশ্বাস করেন না
মিথ্যা বলে সাময়িকভাবে বেঁচে গেলেও তা পুরোজীবন আপনাকে রক্ষা করবে না। বরং এই মিথ্যাই অনেক বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই মিথ্যা বলে পার পাওয়া দিয়ে সুখী মানুষেরা বিশ্বাস করেন না। তারা সত্য বলায় বিশ্বাসী।

‘আমি বুড়িয়ে গিয়েছি’ এই কথাটি তারা মানেন না
আপনার দেহের বয়স যতোই হোক না কেন আপনি বুড়িয়ে যাবেন তখনই যখন আপনি মনে মনে চিন্তা করবেন আপনি বুড়ো হয়ে গিয়েছেন। এবং আপনার এই চিন্তা বার্ধক্যের আগেই আপনাকে অথর্ব করে দিতে পারে। তাই সুখী মানুষেরা কখনোই ভাবেন না তিনি বুড়ো হয়ে গিয়েছেন। বরং তারা বুড়ো বয়সেও সুখী থাকেন নিজের এই মনোভাব নিয়ে।
জীবনটা শুধুমাত্র কাজের জন্য এই কথাটি তারা বিশ্বাস করেন না
জীবনে সফলতা আনতে কাজ করতে হবে তা সকলেই জানেন। কিন্তু সব কিছুর পূর্বে কাজটাকে রাখার অর্থ নিজেকে একটি ছকে কঠিনভাবে বেঁধে ফেলা। যা মন থেকে শান্তি দূর করে দেয়। কাজ করতে হবে ঠিকই কিন্তু জীবনটাও তো উপভোগ করা উচিৎ।
অলসতা এবং অযথা সময় ব্যয় করতে আগ্রহী নন
একজন সুখী মানুষ কখনোই অলসতা করেন না। এবং তারা অযথা কোনো কিছুতে সময় ব্যয় করতেও আগ্রহী নন। সুখী মানুষ নিজের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগান জীবনটাকে ভালো করে উপভোগ করতে।
সব সময় অন্যের মতানুসারে তারা চলতে নারাজ
আপনি যখন অন্য একজনের কথায় নিজেকে সাজিয়ে নিতে চাইবেন তখন আপনার নিজের সত্ত্বা হারিয়ে যাবে যা একই সাথে আপনার মানসিক শান্তিকেও নষ্ট করে দেবে। তাই কিছু কিছু সময় নিজের স্বপ্ন, নিজের ইচ্ছাও পূরণ করে নেন সুখি মানুষেরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন